• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন ॥ কাদের

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

হাঁকডাক দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে না জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খালি মাঠে গোল দিতে চাই না, নির্বাচনে আসুন। সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসেন। এখনো বলছি ভোট না দিলে আমরা নাই। জনগণের ভোটেই পরিবর্তন হবে। হাঁকডাক দিয়ে পরিবর্তন হয় না।


রবিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের জোরপুকুর মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে ‘পিপিলিকার পাখা গজানোর’ সঙ্গে তুলনা করে শীঘ্রই এর পতন দেখছেন ওবায়দুল কাদের।

রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা ‘যথাযথ চমক’ দিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশ একজন মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ১০ মিনিট আগেও কেউ জানতে পারেনি কে হবেন রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা চমকটা যথাযথই দিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে এসে দেখা গেল ক্যামেরায় ফুটে উঠছে এক দুর্দমনীয় একজন ত্যাগী ও দক্ষ মানুষ, একজন সংগ্রামী মানুষ, যিনি (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু) বঙ্গবন্ধু হত্যা পর তিন বছর জেলে নির্যাতন সহ্য করেছেন।


বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচির মধ্যে সিরাজগঞ্জে হামলা এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে এতো ভাবনার দরকার নাই। বিচলিত হব না। তারা ইউনিয়ন পর্যায়ে সারাদেশে পদযাত্রা করেছে। কয়টা ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা হয়েছে? পদযাত্রায় দেখলাম আবারও আগুন সন্ত্রাস। ১৭/১৮টা মোটর সাইকেল সিরাজগঞ্জে কারা পোড়াল? এরা হলো বিএনপির ক্যাডার, এরা হলো সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারি না। এই বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের ঠিকানা।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,  দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ ডিসেম্বরে এতো আওয়াজ, এতো লাল কার্ড কোথায় গেল? সব  গোলাপবাগের গরুর হাটে। বিএনপি আন্দোলন গুরুতর আহত। মাঝে মাঝে মনে হয় পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। এত লাফালাফি পতনটা নিজেদেরই হবে। অপেক্ষা করুন। ধৈর্য্য ধরুন।

আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠিক করা আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মসূচি আমরা করে যাব আগামী নির্বাচন পর্যন্ত। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। আমরা এক বছরের কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, কখনো শান্তি সমাবেশ, কখনো সম্মেলন, কখনো গণসংযোগ।

সমাবেশগুলোতে নেতাদের বড় বড় পোস্টার দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না জানিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে তার আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। প্রতি ছয় মাসে তিনি রিপোর্ট নেন। সব এলাকার। সব খবর তার কাছে আছে। কাকে দিলে মানুষ ভোট দেবে। ওই রিপোর্টে  ভোট আসবে, ব্যানারের ছবি মুছে যাবে।

বিএনপি পাঁচবার দেশকে দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন করে ভুয়া ভোটার তালিকা করে জরুরি সরকার এনেছিল উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। দুই বছরেও যায় না। পাবলিক ক্ষেপে গেছে। শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ২৫ লাখ লোক স্বাক্ষর দিয়েছিল এই শহরের মানুষ। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভুয়া দাবি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পদযাত্রা পতন যাত্রা। এটাও ভুয়া। লোক কমে যাচ্ছে। মিছিলে প্রস্থে লোক বাড়ে, লম্বায় কমে গেছে। তারমানে সব নেতা। সামনে নেতা পেছনে কর্মীরা চলে যাচ্ছে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কত স্বপ্ন দেখিয়ে কর্মীদের হাঁড়ি-পাতিল-লোটা-কম্বল-মশারি সব নিয়ে পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়েছে মির্জা আব্বাসের ওখানে। সেসব কোথায় গেল? মির্জা ফখরুলের মন ভালো নেই। তারেক রহমানের আসল লোক আমির খসরু। মির্জা ফখরুল কি করবে? সংসদ সদস্য হয়ে ধমকের চোটে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। বড় দলের মহাসচিব পদ এই লোভ সামলায় কতজন?

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের স্বাধীনতা থাকবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলারা এখন তো ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ান। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে এটা পারবেন না। আফগানিস্তানে  মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেয় না, স্কুলে পরতে দেয় না, হিজাব ছাড়া বের হতে পারে না। এরা নির্বাচিত হলে তেমন হবে। আগে সন্তানের নামের পরিচয়ে বাবার নাম ছিল। এখন মায়ের নামও থাকবে। এই পরিচয় কে দিয়েছে? শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। নারীদের সম্মান দিয়েছেন তিনি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল