স্ত্রী গর্ভবতী, নজরুলের ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম (৪০)নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই স্কুলছাত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবার বিচারের আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের আগচারান এলাকার মৃত খালেক মিয়ার ছেলে। 

জানা যায়, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

মেডিকেল রির্পোটের ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের ফলে স্কুলছাত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, নজরুলের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীকে মাঝে মধ্যে সাংসারিক কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যেতেন। একদিন নজরুল ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের কথা বাড়িতে বা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এভাবে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন।

এর ফলে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ছাত্রীর শরীরিক পরিবর্তন ঘটায় পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তখন সে নজরুলের ধর্ষণের বিষয় নিয়ে মুখ খোলে। এরপরও নজরুল এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় এখনো ধরা-ছোয়ার বাইরে রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী জানায়, স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় সাংসারিক কাজের কথা বলে আমাকে বাড়িতে ডেকে নিতেন নজরুল ইসলাম। এ সুযোগ নিয়ে একদিন নজরুল ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন। সে ভয়ে এতদিন আমি কাউকে কিছু বলিনি।

স্কুলছাত্রীর মা বলেন, নজরুল আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় ও মামলা করার কারণে আমরা ভয়ে আছি। আমার মেয়ের মতো আর যেন কারো মেয়ের এমন সর্বনাশ না হয়। প্রশাসনের কাছে আমি নজরুলের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোহাম্মাদ কামরুল ফারুক জানান, মামলার পর ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছেন। এরপরও তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।