• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

গোপালপুরে সেই প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৩  

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দুনীর্তি ও শিষ্টাচার বহিভ‚র্ত আচরনের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে বরখাস্তের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী। বুধবার বিকালে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সাজানপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তালুকদার, প্রবীন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক জোয়াহের আলী বিএসসি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ লিটন, সহকারি প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন প্রমূখ।

অপরদিকে বিয়ে না করা সেই সহকারি শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় জিড়ি করা হয়েছে। জানা যায়, স্কুলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের দস্তখত জাল করে সোনালী ব্যাংক গোপালপুর শাখা থেকে বেশ কিছু টাকা উত্তোলন এবং বিধিবহিভর্ভাবে স্কুলের ক্যাশ আত্মসাৎ করার ঘটনায় সকল শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সাথে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্ধ তৈরি হয়। এর মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরে দায়ের করা দুনীর্তির অভিযোগ নিয়ে সরকারি একটি তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রধান সাক্ষী হলেন শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল।

হিন্দু ধর্ম বিষয়ক সহকারি শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল ২০১৬ সালের নভেম্বরে সাজনপুর উচ্চবিদ্যালয়ে যোগদান করেন। রনির অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তাকে দুর্নীতির বিষয়ে সাক্ষী না দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু রনি কথা না শোনায় প্রধান শিক্ষক গত ২৬ জুলাই এক পাক্কা নোটিস জারি করেন। ওই পাক্কা নোটিসে ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে সহকারি শিক্ষক রনিকে বিবাহ করার নির্দেশ দেন। বিবাহ না করলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়। রনি প্রতাপ আগামী অগ্রহায়নের আগে ধর্মীয়রীতি এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে বিবাহ করতে পারবেননা বলে লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে জানান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার অনুরোধ না মেনে তাকে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং সহকর্মীদের সামনে নানাভাবে অপমান করতে থাকে। এতে তার জীবনটা বিষময় হয়ে উঠে।

গত বুধবার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ওই স্কুলে যান গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার নাজনীন সুলতানা। থানায় দায়ের করা অভিযোগে রনি প্রতাপ জানান, তদন্ত চলাকালে তদন্তকারি কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা এবং কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত নিষ্ঠুর মানুষ। এজন্য তিনি প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিড়ি করেছেন তিনি।

থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, জিডির প্রেক্ষিতে তাকে পুলিশ নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা নিবে।

প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ব্যাক ডেটে সোনালী ব্যাংকের চেক দিয়ে টাকা তোলাসহ কিছু ভুলত্রæটি তার রয়েছে। ওভাবে বিবাহের নোটিস করাটা ঠিক হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান, প্রধান শিক্ষকের আর্থিক এবং আচরণ গত কিছু ত্রুটি রয়েছে। গতকাল তদন্তকালে বাদানুবাদ চলাকালে হয়তো হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শেষ না করে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল