• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বাসাইলে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৩  

টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুলাই) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগীর পরিবারসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি।
বক্তারা বলেন, ‘আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছে। মূল আসামী বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব জামিন নিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। গৃহবধূর স্বামীকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামী সাইদুল এবং শাহেদ মিয়ার ৯ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। তারা ওইদিন নিম্ন আদালতে হাজির হবে। এছাড়াও আগামী ১ আগস্ট মামলার মূল আসামী সাকিবও নিম্ন আদালতে হাজির হবে। যাতে আবার অভিযুক্তরা জামিন না পান সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। তাদের এমন শাস্তি চাই যাতে আর কোনও নারী এভাবে যেনো ধর্ষণের শিকার না হয়।’ সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতের খাবার খেয়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া ও তার দুইজন বন্ধু সাইদুল মিয়া এবং শাহেদ মিয়া ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডাক দেন। এসময় সাকিব জানায় তার এক স্বজন অসুস্থ তাকে দেখতে যেতে হবে।
এজন্য সাকিব ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চেয়ে নেন। পার্শ্ববর্তী বাড়ি হওয়ায় সরল বিশ্বাসে গৃহবধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন। পরে মোটরসাইকেলটি কিছুদূর নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তার স্বামীকে ডাকতে থাকেন এবং মোটরসাইকেলটি স্টার্ট করে দিতে বলেন। এসময় তার স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দিতে গেলে কৌশলে সাকিব ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণ করতে থাকে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুখের বাধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
এসময় তার স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে সাকিবকে হাতেনাতে আটক করে। খবর পেয়ে তার অন্য সহযোগিরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে কাউকে জানালে বা মামলা করলে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এ ঘটনায় বাসাইল থানায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় গত ১৬ মে ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাকিব ও তার দুই সহযোগির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল