• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন সুন্দরবনে পুন:অগ্নিকান্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী: টিআইবি সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪ উত্থাপন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ

দেলদুয়ারে মাটি ব্যবসায়ীদের কালো থাবা, ফসলী জমি পরিনত হচ্ছে ডোবায়

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৩  

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মাটি খেকোদের কালো থাবায় দ্বি-ফসলী জমি শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে পরিনত হচ্ছে ডোবায়। উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গড়াসিন গ্রামে’র আবাদি জমির উপর পড়ছে এ ভয়াল কালো থাবা। ফলে ফসলী জমি ডোবায় পরিনত হয়ে এলাকায় খাদ্য ঘাটতি’র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 এলাকাবাসীর অভিযোগ গড়াসিন গ্রামের মুসলিম ফকিরের ছেলে জাহাঙ্গীর, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান, সুরত উল্লার ছেলে নাজিম, মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে শামিম এবং জাঙ্গালিয়া গ্রামের কাজী আরফান আলী খানের ছেলে মোঃ রিপন খান আবাদী জমিতে খনন যন্ত্রের (ভেকু) মাধ্যমে মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে এলাকার আবাদী জমি হচ্ছে ডোবা, অন্যদিকে ডোবা ও মজা পুকুর ভরাট হয়ে হচ্ছে বসতভিটে। অপর দিকে স্থানীয় কাচা-পাকা রাস্তা অবৈধ ট্রাক্টরের দাপটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর রাস্তায় সৃষ্ট ধুলোর কারণে পথচারীরা বহু কষ্টে রাস্তায় যাতায়াত করছে এবং আশেপাশে বসবাস করা মানুষ বায়ু দুষনের শিকার হয়ে নানা ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গড়াসিন গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, ট্রাক্টরের চাকার দাপটে রাস্তার উড়ন্ত ধুলো খাবারে মিশে খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বায়ু দুষনের কারণে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না। মাটিখেকোরা এলাকায় প্রভাবশালী বিধায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের পক্ষে উপজেলা প্রশাসনে তদবীর করার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা ট্রাক্টর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নিকট থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা মাটি কাটছি। যেহেতু বিষয়টি প্রশাসন অবাগত আছেন সেহেতু আমাদের এই মাটিকাটাকে অবৈধ বলা যাবেনা।
এ ব্যাপারে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শোয়েব মাহমুদ জানান, কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা আমার জানামতে নিষিদ্ধ। আবাদী জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে যদি অনাবাদী হয়ে যায় তাহলে কিছুটা হলেও এলাকায় ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আলী বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে কাউকে মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল