• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সখীপুরে নতুন শিক্ষাক্রমের ৫দিনের শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩  

সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুরেও নতুন শিক্ষাক্রমের ‘শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ’ ৫দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি হয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সমাপ্তি হয়। উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক ও ২৭টি মাদরাসার ৪০৮জন শিক্ষক ১ম পর্যায়ে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার নির্বাচিত শিক্ষকগন জেলা পর্যায়ে ৬দিনের ট্রেনিং করে ‘মাস্টার ট্রেইনার’ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে। এ উপজেলায় ১০টি বিষয়ের উপর ৩০জন মাস্টার ট্রেইনার দক্ষতার সাথে তাদের সেশন পরিচালনা করেন।


নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ১০টি বিষয়ে ১০টি বই থাকবে। এগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জীবন ও জীবিকা, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা (যার যার ধর্ম অনুযায়ী) এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। গত বছর সারা দেশে ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে।


জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাক প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নতুন এই শিক্ষাক্রম আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরোপুরি চালু হবে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে চালুর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে।


প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষক সোহরাব আলী বলেন, সম্পূর্ণ একটি নতুন কারিকুলাম। শুরুতে জটিল মনে হলেও পাঁচদিন প্রশিক্ষণ শেষে তা মনে হয়নি। আশা করছি আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো কিছুই দিতে পারবো।

মাস্টার ট্রেইনার মধুসূদন বলেন, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি, তা উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে শেয়ার করেছি। শিক্ষকরা স্বত:স্ফূর্তভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিটি সেশনে অংশ নিয়েছে। ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঝিল্লুর রহমান আনম বলেন, শিক্ষকরা ৫দিনের প্রশিক্ষণ পেয়েছে। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারলে তবেই এ কারিকুলামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে বড় রকমের পরিবর্তন আসবে। প্রথাগত পরীক্ষার চেয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, নতুন শিক্ষক্রম নি:সন্দেহে সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ।

উন্নত দেশ গুলো অনেক আগেই এ সিস্টেমে প্রবেশ করেছে, আমাদেরতো সবে মাত্র শুরু। শিক্ষকরা যদি ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করতে সক্ষম হয় তবে এ কারিকুলাম সফলতা অর্জন করবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল