• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সরকারের প্রণোদনা পেয়ে সখীপুরে রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২২  

চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রথমবারের মতো আবাদি জমিতে রেকর্ড পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় কৃষকদের সরিষা চাষে আগে এত আগ্রহ দেখা যায়নি। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক লাভবানের হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। এ অঞ্চলে ফসলের ক্ষেতে দৃষ্টিজুড়ে শুধুই হলুদের সমারোহ, যা দেখে কৃষক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন ‘লাভবান হবো’।
 
গত বছর স্থানীয় বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবার সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক লাভবান করবেন বলে মনে করছে উপজেলার কৃষকরা ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কিছু অংশে ২ হাজার ১শত ৭৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবার কৃষকরা ৬৬০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৫, বীনা-৪, উচ্চ ফলন জাতের সরিষা চাষ করেছেন। বাকি জমিতে তরি-৭ আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
 
আরো বলেন, বছরের পর বছর স্থানীয় জাত চাষ করে ফলন কম হওয়া ও উৎপাদনে সময় বেশি লাগার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষ কমিয়ে দেন। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে উপজেলা কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ দুটি জাতের সরিষা মাত্র ৭৫-৮০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
 
উপজেলার লাঙ্গুলিয়ার বটতলা গ্রামের কৃষক এম এ হাসান রতন বলেন, এ বছর ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাম্পার ফলন হবে।

যাদবপুর উত্তর পাড়া গ্রামের বায়েজিদ সিকদার বলেন, ‘গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবার চাষ করেছি বার বিঘা। বারি-১৪ জাতের সরিষা ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি লাভবান হবো।

প্রতিমা বংকী গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ছাড়াই দুই বিঘা জমিতে উন্নতজাত বারি-১৪ ও তিন বিঘাতে তরী-৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন বলেন, ‘কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বারি-১৪, বারি-১৫ ও বিনা-৪ সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এবার কৃষকরা ৬৬০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৫, বীনা-৪, উচ্চ ফলন জাতের সরিষা চাষ করেছেন। বাকি কৃষকরা ১৫১৮ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন তরি-৭। এ বছর আমরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ১৫০০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করার জন্য কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছি।

তিনি আরোও বলেন, এ সরিষা উত্তোলন করে বোরো আবাদ করতে পারেন বলে কৃষকরা “অতিরিক্ত ফসল” হিসেবে বলে থাকেন। বারি-১৪ জাতের সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল