• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ ডলারের দাম বৃদ্ধির পরও হজ প্যাকেজের খরচ কমানো হয়েছে : ধর্মমন্ত্রী এবারও হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে: সৌদি রাষ্ট্রদূত দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছাল খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী

আজ ঐতিহাসিক জাহাজমারা দিবস

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০  

আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ত্বরান্বিত করার ঐতিহাসিক ‘জাহাজমারা’ দিবস।

 

করোনা ও বন্যার কারণে দিবসটি উপলক্ষে এবার বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হয়নি। তবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাটিকাটায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজমারা কমান্ডার হাবিবের ছেলে আতিকুর রহমান।

 

১৯৭১ সালের এই দিনে যমুনা নদীতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা নামক স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আধুনিক মারণাস্ত্র ও রসদ বোঝাই পাক বাহিনীর জাহাজ এসইউ ইঞ্জিনিয়ার্স এলসি-৩ ও এসটি রাজন ধংস করার মাধ্যমে হানাদারদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।

 

 

ঐতিহাসিক সূত্রে প্রকাশ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মরণাস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানী ও রসদ বোঝাই ৭টি যুদ্ধ জাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল।

 

মুক্তিযুদ্ধের এ সময় যমুনা-ধলেশ্বরী নদী পথে মাটিকাটা নামক স্থানে করা নজরদারী করছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা মেজর হাবিবুর রহমান।

 

তার দূরদর্শী নেতৃত্বে অল্প সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুটি অস্ত্র বোঝাই জাহাজ এসইউ ইঞ্জিনিয়ার্স এলসি-৩ এবং এসটি রাজন ধংস করা হয়।

 

জাহাজ দুটিতে আক্রমণ ও দখল করে ১,২০,০০০ বাক্সে ২১ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দীর্ঘ ৯ মাসে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এক যুদ্ধে অন্য কোথাও মুক্তিবাহিনীর হাতে এত বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখিন হতে হয়নি।

 

পরবর্তীতে যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্তানি কমান্ডেন্ট লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি ও ব্রিগেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেড, ৫১ কমান্ডো ব্রিগেড ও পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর দুটি এফ-৮৬ স্যাবর জেট বিমান দ্বারা মুক্তিবাহিনীর উপর চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করে।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধারা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও রণ কৌশলের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী(টার্নিং পয়েণ্ট) অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

 

কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসম সাহসীকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীরবিক্রম’ ও ‘জাহাজমারা হাবিব’ খেতাবে ভূষিত করে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল