প্রবাসীদের আয়ে টাঙ্গাইলে ঘুরছে অর্থনীতির চাকা
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০
গত ১৪ বছরে টাঙ্গাইল জেলা থেকে চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ। যা দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে চতুর্থ সর্ব্বোচ। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এই প্রবাসীদের পাঠানো আয়। প্রবাসীদের পরিবারে দারিদ্র্য কমেছে, এসেছে সচ্ছলতা। তাদের আয় ও সঞ্চয় বাড়ার কারণে গ্রামীণ জনপদে বিনিয়োগও বাড়ছে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ছয়টি উপজেলা ঘুরে এবং ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাঙ্গাইলের অধিকাংশ পরিবারের কমপক্ষে একজন, কোনো পরিবারের পাঁচ থেকে ছয়জন উপার্জনকারী ব্যক্তি প্রবাসে থাকেন। অনেকে প্রবাস থেকে ফিরে নিজস্ব পুঁজিতে গ্রামে ও শহরে ব্যবসা শুরু করেছেন। গ্রামীণ বাজারগুলোতে গড়ে ওঠা দোকানের অধিকাংশই প্রবাসী ও তাদের পরিবারের।
কত লোক বিদেশে চাকরি নিয়ে গেছেন, সে তথ্য সংরক্ষণ করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থা ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) অফিস। তাদের বিগত ২০০৫ সালের (১ জানুয়ারি) থেকে বিগত ২০১৮ সালের (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই সময়ে টাঙ্গাইল থেকে ৪ লাখ ১ হাজার ২৯২ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। শুধু বিগত ২০১৮ সালেই টাঙ্গাইল জেলা থেকে বিদেশে গেছেন ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন।
বর্তমানে টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বড়মনি নিজেও একসময় জার্মান প্রবাসী ছিলেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের অর্থনীতি এখন অনেকটাই প্রবাসীদের আয়নির্ভর। প্রবাসীরা শুধু সরাসরি ব্যবসা- বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছেন তা নয়। স্থানীয় অর্থনীতিতে পরোক্ষভাবেও অবদান রাখছেন।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুর রহমান খান ১৩ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে ব্যবসা করছেন। টাঙ্গাইল শহরে ও গ্রামে কিছু জমিও কিনেছেন। বিদেশে থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে দুটি মাইক্রোবাস কিনছেন।
সাদিকুর রহমান বলেন, কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির কেউ না কেউ বিদেশে থাকেন। বিদেশে যাওয়ার কারণে অনেক দরিদ্র মানুষ তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পেরেছেন। আগে দিনমজুরি করা এখন তারা অনেক বাড়িতে ঘর তুলেছেন, জমি করেছেন।
কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের ছাতিহাটি গ্রামে কথা হয় অমিত ইমতিয়াজের সঙ্গে। ইতালি প্রবাসী অমিত ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে তিনি দেশের বাইরে অছেন। অমিতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম পেশায় প্রকৌশলী। শহীদুল ফিনল্যান্ড থাকেন।
অমিত বলেন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দাদের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। ১৫-২০ বছর আগে এলাকায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। প্রবাসীদের আয়ে এলাকার অর্থনীতিক অবস্থা অনেকটাই বদলে গেছে। কর্মী হিসেবে বিদেশে যাওয়ার জন্য গত তিন মাসে টাঙ্গাইল জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে আঙুলের ছাপ পড়েছে ৬ হাজার ৫৮০ জনের।
কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, টাঙ্গাইলের প্রবাসীদের বড় গন্তব্য মধপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরেও লোক যাচ্ছেন।
মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার বাসিন্দা প্রবাসে থাকেন।
উপজেলার পাথরঘাটা বাজার কমিটির সহসভাপতি আবদুল মজিদ বলেন, এই অঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের হাত ধরে। প্রবাসীদের পরিবারের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। পাথরঘাটাসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ব্যবসা-ব্যানিজ্যের বেশ উন্নতি হয়েছে।
উপজেলার ছাতিহাটি বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল খালেকেরা সাত ভাই। বর্তমানে তাঁর ভাইদের দু’জন ফ্রান্সে, একজন করে স্পেন, মালেয়শিয়া ও সৌদি আরবে থাকেন। খালেক নিজে ১৬ বছর সৌদি আরব ছিলেন। ভাইদের প্রত্যেকে নতুন ঘর তুলেছেন।
খালেক বলেন, বিদেশ গিয়ে পরিবারের আর্থিক অবস্থা বদলেছেন। বিগত ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সরকার সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, কাতার, সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়াসহ বেশকয়েকটি দেশে যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করে দিলেও দালালচক্রের কারণে সেই টাকায় কেউ যেতে পারেন না। টাঙ্গাইল থেকে বিদেশে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের (দালাল) দুষ্টচক্র। দালালদের কারণে সরকার নির্ধারিত খরচের কয়েকগুণ বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
বিদেশগামীদের অভিবাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদেশে যেতে খরচ বেশি লাগায় সেই টাকা উপার্জন করতেও বেশি সময় লাগছে। অভিবাসন ব্যয় কমানো গেলে অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অরও বাড়বে।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি একটি সংস্থার পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, টাঙ্গাইলেও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে অভিবাসন ব্যয় বেশি লাগে, প্রতারণার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু অভিবাসন খাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকার মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে বৈধতা দিলে অভিবাসন ব্যয় কমবে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতা আসবে বলে তিনি মনে করেন।
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- নদীর ঘাটে অসুস্থতা নিয়ে কাতরাচ্ছিল স্কুল ছাত্রী
- লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের প্যানেলের জনসভা
- বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট তৃষ্ণাত্ব মানুষের পাশে দাড়ালেন
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি
- রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে ভাঙ্গা ও চন্দনা কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি