• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

আগামীকাল পালিত হবে নাগরপুরের বনগ্রাম গণহত্যা দিবস

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯  

আগামীকাল ২৫ অক্টোবর, টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ঐতিহাসিক ‘বনগ্রাম গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে নাগরপুরের এ গ্রামটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালায় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে গণকবরটি। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গয়হাটা ইউনিয়নে যমুনা নদীর শাখা নদী ধলেশ্বরীর পাড়ে গ্রামটির অবস্থান। 

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছেন এমন সংবাদ পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে গানবোট নিয়ে এসে পাক হানাদার বাহিনী বনগ্রাম আক্রমন করে। সে সময় তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন মেজরসহ ৩ জন নিহত হয়। আর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শহীদ হন জেলার কালিহাতী উপজেলার নজরুল ইসলাম নজু, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম, আকতারুজ্জামান ও ওহাব আলীসহ ৭জন।

অবস্থা বেগতিক দেখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনী স্ব স্ব ক্যাম্পে ফিরে যায়।

পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ২৫ অক্টোবর বনগ্রাম আক্রমন করে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক গণহত্যা চালায়।

আবাল, বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা কেউ রেহাই পায়নি হায়েনাদের হাত থেকে, হত্যা করে ৫৭ জনকে এবং ১২৯টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে। পরে তাদেরকে একত্রে মাটি চাপা দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরে ঐ স্থানটি বনগ্রাম গণকবর হিসেবে নামকরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুজায়েত হোসেন জানান, নানা প্রতিকূলতা সত্বেও আমরা এ পর্যন্ত গণকবরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, গেইট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করতে পেরেছি। স্থানীয় জনগন শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে বিদ্যালয়, বাজার ও মাদরাসা নির্মান করেছেন, বলেন এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।

তিনি আরও বলেন, এখন নাগরপুর-শাহজানী পাকা সড়ক থেকে গণকবরে যাওয়ার শহীদ তাহের সড়কটি পাকা করলে গণকবরটি রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। শহীদ তাহের সড়কটি দ্রুত পাকা করতে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমি প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল