চীনা বিশেষজ্ঞ হলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনা বিশেষজ্ঞ ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ঢাকা দূতাবাসে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

ডেভিড মিল মন্ত্রী-কাউন্সেলর পদমর্যাদার সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন সদস্য। বর্তমানে চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে রয়েছেন, যেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।  

এ দায়িত্ব পালনের আগে, তিনি ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশনের উপ-সহকারী সচিব ছিলেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন ব্যুরোর পরিচালক ছিলেন।  

ওয়াশিংটন, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ের পরামর্শদাতা, অর্থনৈতিক ব্যুরোতে মুদ্রা বিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালক এবং চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি এবং ওয়াশিংটনেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন মিল।

ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে, স্প্রিন্ট টেলিকমিউনিকেশনে কর্পোরেট ফাইন্যান্সের উঁচু পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মিল। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির আইজেনহাওয়ার স্কুল থেকে এম.এস, টুলেন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি ডিগ্রি নিয়েছেন।

অসামান্য অবদানের জন্য মিল ডেপুটি চিফ অব মিশনের হিসেবে বেকার-উইলকিন্স পুরস্কারের পেয়েছেন এবং চীনা, ইউক্রেনীয় এবং ফরাসি ভাষা অধ্যয়ন করেছেন।

অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে পিটার ডি হাস বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে তাকে ভালো একটি জায়গায় স্থান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।