• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বাংলাদেশে ভার্চুয়াল চিকিৎসা পদ্ধতি টেলিমেডিসিনে মহাবিপ্লব

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  

ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতিই টেলিমেডিসিন সেবা। দূর থেকে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ভিডিও কনফারেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এ সেবা প্রদান করে থাকেন। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সাল থেকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই চিকিৎসকরা মহামারি থেকে বাঁচতে চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় সময়ের প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবায় নতুন ধারা টেলিমেডিসিন সেবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
জানা যায়, করোনার সময় কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই ধাপে ধাপে দেশবাসীকে ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হয়। পরবর্তী সময়ে ঘরবন্দি রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর টেলিমেডিসিন সেবাকে সামনে আনে। যেন রোগীরা ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে অতিদ্রুত চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ নিতে পারেন। সরকারিভাবে চালু করা টেলিমেডিসিন সেবায় প্রথম দিকে কয়েক হাজার কল আসলেও তা প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। এখন দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় এই চিকিৎসা সেবা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, টেলিমেডিসিন পদ্ধতি দেশে আগে থাকলেও মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সে সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকার কথা বলা হয়। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে থাকেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে টেলিমেডিসিন সেবা পদ্ধতি চিকিৎসক ও রোগী-উভয়ের জন্য একটি সহজ সমাধান। এছাড়া করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে এটা একটি সফল মাধ্যমও। এটা শুধু বর্তমানই নয়, ভবিষ্যতেও এর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।

যেভাবে নেবেন টেলিমেডিসিন সেবা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিনের প্রচলন মোটামুটি নতুন এবং আধুনিক একটি ধারণা। এখানে ডাক্তাররা টেলিভিশন স্ক্রিন এবং ক্যামেরার সামনে বসে দূর-দূরান্তের রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এ পদ্ধতি চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্য সহজ সমাধান। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসুস্থ রোগীরা এখন গ্রামে বসেই রাজধানীর বড় বড় ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে রোগী কথা বলতে পারবেন, সমস্যাগুলো দেখাতেও পারবেন। পুরোনো রোগীরা তাদের প্রেসক্রিপশন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের পাঠিয়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞের নতুন পরামর্শ নিতে পারবেন। শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সুবিধাগুলো গ্রহণ করা যাচ্ছে। এর ফলে কোনো রোগীকে আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হচ্ছে না। আবার করোনাভাইরাসের ঝুঁকিও এড়ানো যাচ্ছে। এটি ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে করা হয়, তাই রোগীকে ক্লিনিকে সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে না। ফলে তারা অন্য লোকের সংস্পর্শে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে পারেন।

ভার্চুয়াল এ পদ্ধতি বর্তমান করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধে অনেকটা সফল বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। রাজধানীসহ সারাদেশের অধিকাংশ হাসপাতাল টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। এক্ষেত্রে রোগীরা তাদের আগের রিপোর্ট ই-মেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপে চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে টেলিফোনে বা ভিডিও কনফারেন্সে প্রয়োজনীয় করণীয় পাচ্ছেন। আবার চিকিৎসকরাও টেলিকনফারেন্সের অ্যাডভাইস ওই রোগীর ই-মেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

টেলিমেডিসিন সেবা যারা দিচ্ছেন: করোনার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সাধারণ মানুষকে ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য হটলাইনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ চিকিৎসকের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ রয়েছে। যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, অথবা আইসোলেশনে থেকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছেন তারা প্রত্যেকেই এই কল সেন্টারে ফোন করে চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় নানা পরামর্শ নিতে নিয়েছেন বা নিতে পারবেন।
হটলাইন: দিনরাত ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য চারটি হটলাইন নম্বর চালু করে করে সরকার। নম্বরগুলো হচ্ছে: ০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩-৭৯১১৩৯, ০১৩১৩-৭৯১১৪০। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়েও এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

টেলিমেডিসিন কী: টেলিমেডিসিন শব্দটি এরমধ্যে বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে। কিন্তু টেলিমেডিসিন কী? কাকে বলে? অনেকেই ভাবেন টেলিমেডিসিন হয়তো রোবটিক কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি, টেলিমেডিসিন চিকিৎসায় বুঝি খুব ব্যথা লাগে। আসলে এমন কিছুই নয়। টেলিমেডিসিন হলো ঘরে বসে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা নেয়ার আধুনিক পদ্ধতি।

গ্রামে গিয়ে হঠাৎ শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে? জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নেয়া দরকার অথচ আশপাশে না আছে হাসপাতাল আর না কোনো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস? আপনি যে সমস্যায় পড়েছেন, আমাদের গ্রামের বাসিন্দারা প্রায়শই এমন সমস্যায় পড়ে যান। এ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে না গিয়েও সেবা নেয়া যায়। আপনার-আমার এমন কঠিন সময়ে প্রয়োজনে পাশে থাকতেই প্রযুক্তি ও মেডিকেলের সমন্বয়ে এসেছে টেলিমেডিসিন সেবা।

Telemedicine শব্দটি Tele এবং‎ Medicine শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়। টেলিমেডিসিন সেবা Telehealth, Telecare Ges এবং e-Medicine নামেও পরিচিত।

টেলিমেডিসিন সেবার কারণে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া যাচ্ছে তা নয়, বরং ঘরে বসে দেশের প্রসিদ্ধ ডাক্তারদের পাশাপাশি দেশের বাইরের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিওকলে কথা বলে সেবা নেয়া সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং, অর্থ সংকটের কারণে যারা বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলাম, টেলিমেডিসিন সেবার বদৌলতে সেই সংখ্যাটা যে অনেকাংশে কমে যাবে তা বলাই যয়। ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে যেহেতু ঘরে বসে সেবা নেয়া যায়, তাই যাতায়াতে যেসব রোগীর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে যেমন, গর্ভবতী মহিলার জন্য। আবার, কাউকে ছোঁয়াচে রোগজনিত কারণে হাসপাতালে নেয়া হলে অন্যদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে টেলিমেডিসিন সেবা কার্যকর হতে পারে।

বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন সেবা: বাংলাদেশে টেলিমেডিসিনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে Swinfen Charitable Trust এর হাত ধরে। তখন ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ছবি তুলে ই-মেইলের মাধ্যমে কনসালট্যান্টের কাছে পাঠানো হতো। সে বছর জুলাই মাসে প্রতিরোধযোগ্য রোগের চিকিৎসায় টেলিমেডিসিন সেবা প্রয়োগের লক্ষ্যে Telemedicine Reference Centre Ltd. (TRCL) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে TRCL গ্রামের ডাক্তারদের ২০০ জন বিশেষজ্ঞের সাহায্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

২০০১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত US Trade Show-তে TRCL বাংলাদেশ ও টঝ এর চিকিৎসকদের টেলিমেডিসিন সিস্টেম প্রদর্শন করে। সেবছর এপ্রিল মাসে Bangladesh Telemedicine Association (BTA) প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে Sustainable Development Network Programme (SDNP) Bangladesh চালু করা হয়।

২০০৫ সালের আগস্ট মাসে Diabetic Association of Bangladesh এর সহযোগিতায় Grameen Telecom বাংলাদেশে প্রথম ভিডিও পরামর্শ সেবা চালু করে। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় ১ কোটি গ্রাহককে এসএমএস-ভিত্তিক ল্যাব রিপোর্ট, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা পরামর্শ সেবাদানের উদ্দেশ্যে ডায়াল ৭৮৯ চালু করে গ্রামীণফোন এবং TRCL. ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে হেলথকেয়ার সুবিধা উন্নয়নে ‘ICT in Rural Bangladesh’ নামে একটি নতুন প্রজেক্ট উদ্বোধন করে SPIDER, যা ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল।

টেলিমেডিসিন সেবার চাহিদা: বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে চিকিৎসা সেবার চাহিদা সবসময়ই বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি হেলথকেয়ার সার্ভিসের চাহিদাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু বয়োবৃদ্ধ লোকদের রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের চিকিৎসা সেবার বেশি প্রয়োজন হয়। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বহু মানুষ এখনো গ্রামে বসবাস করে। মানসম্মত বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ শহরাঞ্চলে সেবা প্রদান করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সুলভ মূল্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল হেলথকেয়ার ও হেলথট্যাক স্টার্ট-আপগুলো এগিয়ে এসেছে।

ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিএমএইচ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল  বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, সিটি ডেন্টাল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ সেবার আওতায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রেসক্রাইব করা ওষুধ ডেলিভারিও ঘরে বসে নেয়া যাচ্ছে। লাজ ফার্মা, তামান্না ফার্মেসি, প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, আল মদিনা ফার্মেসিসহ বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ফার্মেসির দেওয়া নম্বরে ফোন করলে পেয়ে যাবেন আপনার ওষুধ। রয়েছে আরও কিছু অ্যাপস ও সংগঠন।

হ্যালো ডক্টর এশিয়া: অনলাইনে ফ্রি স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবার একটি পাইলটিং শুরু করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ। অনলাইনে চিকিৎসা সেবা পেতে আগ্রহীরা ‘Hello Doctor Asia’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন https://bit.ly/2X7NS1O লিংক থেকে ডাউনলোড করে বাড়িতে বসে ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।

মেডিকেল সংগঠন জেসা: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন- এমন ১৫০ জন চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘জেসা’ নামের একটি মেডিকেল সংগঠন। হটলাইনে টেলিমেডিসিন ফরম্যাটে চিকিৎসা সেবা দেবেন তারা। চিকিৎসকদের বিস্তারিত পাওয়া যাবে এ লিংকে-https://www.facebook.com/sheikh.foyez/posts/10221552988472593

স্বাস্থ্য বাতায়ন: বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি সেবা। এ স্বাস্থ্য বাতায়নের হেল্পলাইন ১৬২৬৩ এ কল করে আপনি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এ হেল্পলাইন দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আপনার সেবায় নিয়োজিত। এছাড়া স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে আপনি সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তারের তথ্য কিংবা স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক অন্যান্য যে কোনো তথ্য এবং ফোন নাম্বার পেতে পারেন। ১৬২৬৩ নম্বরে ডায়াল করার পর আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শের জন্য সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলতে (শূন্য) চাপতে হবে। আপনি যদি আপনার নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তারের তথ্য কিংবা স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কোনো কিছু জানতে চান, তাহলে ১ চাপতে হবে। আপনি যদি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ জানাতে চান, তাহলে ২ চাপতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বাতায়ন সেবাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ৩ চাপতে হবে। স্বাস্থ্য বাতায়ন সেবা সম্পর্কিত কোনো পরামর্শ অথবা অভিযোগ জানাতে ৮ চাপতে হবে। সরাসরি ওয়েব থেকে ডাক্তারের পরামর্শও পেতে পারেন। বিস্তারিত জানতে এ লিংকটি ক্লিক করতে হবে: https://www.facebook.com/ShasthoBatayon/ 

সরকারি উদ্যোগে টেলিমেডিসিন সেবা: দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক হাসপাতালে উন্নত মানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। এ সেবা চালুর ফলে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আধুনিক মানের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনার এলাকা নির্বাচন করে show Mobile No -এ ক্লিক করলে এখানে আপনার এলাকার যতগুলো হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে, সবগুলোর নম্বর পেয়ে যাবেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল