রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে ॥ যুক্তরাষ্ট্র
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২২
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর যে দমন-পীড়ন চলেছে অবশেষে সেটিকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের কথা রবিবার জানিয়েছেন দেশটির উর্ধতন এক কর্মকর্তা। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি তাই নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন স্থানীয় সময় সোমবার এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। খবর অনলাইনের।
মিয়ানমারের কর্মকা-কে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করার অর্থ এই নয় যে দেশটির সামরিক শাসকদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। তবে ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু নিষেজ্ঞার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার। দ্য হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে আরও আগেই। এখন যুক্তরাষ্ট্রও যদি এটিকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করে তবে মিয়ানমার সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের আগে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপরও এ ঘোষণা দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মানবাধিকার সংগঠন রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনাল এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা খুবই অর্থবহ একটি পদক্ষেপ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটি অত্যন্ত বড় ঘটনা। এর ফলে রোহিঙ্গা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশগুলোর কাজ অনেক সহজ হবে।’ মার্কিন গণহত্যা আইন অনেক কঠোর এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন (কোন দেশের ওপর) এর প্রয়োগ হয়, তখন ওই দেশের বিরুদ্ধে গোটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন একইভাবে কাজ করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জারি হয়।’ কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা জারি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দেশে মানবিক সহায়তা ছাড়া অন্য সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে এবং মিয়ানমারের অন্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপরও একটি চাপ সৃষ্টি হবে।’ আগের মার্কিন প্রশাসন রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে অভিহিত করেছিল, কিন্তু বাইডেন প্রশাসন কেন এটিকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটদের কাছে মূল্যবোধের গুরুত্ব অনেক বেশি।’
মার্কিন প্রশাসন যখন কোন দেশকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তখন আন্তর্জাতিক আইনে এর একটি বড় প্রভাব পড়ে। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আইসিসি এবং আইসিজে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত দুটি মামলা চলমান আছে এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে এদের প্রভাব পড়বে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আইসিসি কোর্টে মিয়ানমার জান্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান আছে এবং আশা করা হচ্ছে প্রমাণ সংগ্রহের পরে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হবে। ওই কোর্টে মার্কিন ঘোষণা একটি বড় রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে।
অন্যদিকে আইসিজে কোর্টে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে এবং সেখানে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বোঝা যাবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের বড় চাওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং গণহত্যা ঘোষণার পরে মিয়ানমারের সঙ্গে দরকষাকষি করতে সরকারের সুবিধা হবে। এ বিষয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশের চাওয়া-পাওয়া সবচেয়ে ভাল বাংলাদেশই বোঝে। সরকার সরাসরি মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করলে সবচেয়ে ভাল হবে। মার্কিন এই ঘোষণার পর মিয়ানমার যেহেতু চাপে থাকবে, এর ফলে তাদের সঙ্গে দরকষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠীর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করে। সেই অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওই অভিযানে গণধর্ষণ, হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
- মিরপুরে পুলিশের সাথে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ
- ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- দেশে সবার অন্তত ২ কাঠার জমি ও একটি ঘর থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- দেশীয় পণ্যের মেলা শুরু আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিল বাংলাদেশ
- বিদেশে ৬ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের খোঁজ
- আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী
- নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ ॥ জুজুৎসুর সম্পাদক রফিকুলসহ ২ জন গ্রেফতার
- পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার : নানক
- শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : টিআইবি
- স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম
- কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে
- সাংবাদিক প্রবেশের বিষয় স্পষ্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল
- সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়
- সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের....
- তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি
- পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
- দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি
- রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২
- গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদে বাজিমাত
- লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- মা-বাবার সেবা বিপদমুক্তির অসিলা
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- বিমা দাবি পরিশোধে কমিশন ও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান