শিগগির বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং মানদণ্ডে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পেশাগত ক্ষেত্রে একজন সৈনিকের দক্ষতার মাপকাঠি হলো ফায়ারিং। এই মানদণ্ডকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শিগগিরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিংয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করবে।

গতকাল বুধবার সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং অনুশীলন রেঞ্জে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর সামগ্রিক প্রশিক্ষণের মান নির্ণয়ে ফায়ারিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ’ এবং ‘এক শক্র এক বুলেট ’—এই দুই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং পরিচালনা করা হয়। শিগগিরই ফায়ারিংয়ে উচ্চমান অর্জন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

সকাল আটটায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ফায়ারিং স্কোয়াডে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সেখানে কুমিল্লা এরিয়া ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমকর্মীদের সরবরাহ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং অনুশীলন রেঞ্জে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে সেনাবাহিনীর ১০টি ডিভিশন, ৫টি স্বতন্ত্র ব্রিগেড ও লজিস্টিক এরিয়াসহ ১৬টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড চ্যাম্পিয়ন ও ১১ পদাতিক ডিভিশন রানার্সআপ হয়। এতে ছেলেদের মধ্যে আবুল আলিম ও মেয়েদের মধ্যে সৈয়দা রাফিয়া জামান সেরা হন। পরে সেনাপ্রধান বিজয়ী দল ও সৈনিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।