• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বড় ভর্তুকি দিলেও সারের দাম বাড়ছে না: কৃষিমন্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২২  

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। কিন্তু কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- কৃষকের কল্যাণে ও কৃষির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ মুহূর্তে সারের দাম বাড়ানো যাবে না। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও প্রধানমন্ত্রী সারে ভর্তুকি দিয়ে যাবেন। 
শনিবার ঢাকায় এফডিসিতে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে’ ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকার কর্তৃক সারের চার দফা দাম কমানোর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও ভর্তুকি প্রদানের প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে সারের ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এবং আগামী জুন পর্যন্ত আরো ৯ হাজার কোটি টাকা (মোট ২৮ হাজার কোটি) প্রয়োজন হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন ব্যয় বাড়ার ফলেই এ বিশাল অংকের ভর্তুকি লাগবে। এমনিতে আমাদের প্রতি বছর ৮-৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিতে লাগে। 

তিনি বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে এ বিষয়ে সরকার দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। এতো ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে। কিন্তু এ মুহূর্তে সারের দাম না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারে ভর্তুকি দিয়ে যাবেন। 

আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এছাড়া এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের অনেকগুলো ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরো অনেকগুলো স্থাপনের উদ্যোগ চলছে।  

বিদেশে রফতানি করার ক্ষেত্রেও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ফসলের উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মেনে ফসল উৎপাদিত হলে খাবার যেমন নিরাপদ ও পুষ্টিকর হবে, তেমনই রফতানি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউস ও ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারের এসব পদক্ষেপের ফলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হব। 

তিনি বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হলে সাধারণ মানুষের আয়ও বাড়াতে হবে। আয় বাড়াতে না পারলে, জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে ভেজাল ও অনিরাপদ খাবারের প্রকোপ আরো বাড়বে। এজন্য মানুষের আয় বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কৃষিজীবী বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করতে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যের অর্থকরী ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন হাসান আহমেদ কিরণ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল