দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৪
প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন ও পুরুষ এবং স্ত্রী মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে, যা শিং মাছের বাণিজ্যিক চাষে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করছেন গবেষক দল। মাছের এই প্রজাতিকে টিকিয়ে রেখে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বজায় রাখবে অন্যদিকে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক স্ত্রী শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
গবেষক দলের প্রধান বাকৃবি ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম। এ ছাড়াও গবেষণা কাজে সহায়তা করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ৬ শিক্ষার্থী।
দেশীয় শিং মাছ বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছের প্রজাতি। লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে শিং মাছের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম শিং মাছে ২২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লৌহ উপাদান পাওয়া যায়, যা লোহিত রক্ত কণিকার প্রধান উপাদান। এ ছাড়াও এতে রয়েছে উন্নতমানের আমিষ ও ক্যালসিয়াম। পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি খেতে সুস্বাদু, কম কাঁটা ও স্বল্প চর্বিযুক্ত হওয়ায় মাছটি বিশেষভাবে সুপরিচিত। জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, অতিরিক্ত আহরণ ও প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে দেশি শিং মাছ বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন।
গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম বলেন, গবেষণায় উদ্ভাবিত ড্রাফট জিনোম (প্রথমবার শনাক্তকৃত জিনোম) দিয়ে পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করা সম্ভব। যা কোনো দেশীয় প্রজাতির মাছের ক্ষেত্রেই প্রথম। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধুমাত্র পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ নির্ধারণকারী জিন ছাড়াও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জিন শনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রচলিত হরমোন প্রয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তে ‘মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশন’ (এমএএস) পদ্ধতির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্ত্রী শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে, যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব। এতে করে প্রাকৃতিক জলাশয় ছাড়াও কৃত্রিম পদ্ধতিতেও স্ত্রী শিং মাছ চাষ করা যাবে।
২০২০ থেকে ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাদুপানির মোট উৎপাদিত মাছের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ আসে শিং ও মাগুর মাছ থেকে। স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ শিং মাছ অপেক্ষা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। তাই এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন অন্যতম একটি উপায়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণ জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শিং মাছের জিন নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সংগৃহীত দেশি শিং মাছের নমুনা দিয়ে অধ্যাপক তাসলিমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক গবেষণা কাজ শুরু করেন।
গবেষক দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশি শিং মাছের ৮টি ফ্যামিলির প্রায় ৮০০ পোনার নমুনা নিয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্সিং ও জিন শনাক্তকরণের কাজ করা হয়। সর্বাধুনিক জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ও সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বায়োইনফরমেটিকস অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ওই জিনোম সিকুয়েন্স সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সময়কালে গবেষণা কাজে অর্থায়ন করে ‘জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস)’।
গবেষণার বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শিং মাছ অনেক উপকারী। বিশেষ করে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য এটি বিশেষভাবে সমাদৃত। দেশি মাছের অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় ভিন্নধর্মী এ প্রজাতিতে স্ত্রী মাছের উৎপাদন বেশি। আর পুরুষ ও স্ত্রী মাছ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণের এই গবেষণার ফলাফল স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করে শিং মাছের উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
- ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আ. লীগের প্রতিনিধিদল
- যেদিন থেকে খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু
- বেনজীরের সম্পদের খোঁজে বিদেশে চিঠি
- ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- কমবে ১৭ পণ্যের দাম
- তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- মালয়েশিয়ায় ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত
- আবাসিক হোটেল থেকে একঝাঁক তরুণ-তরুণী আটক
- ২০ বছর ধরে বাদাম বিক্রিতে চলে উজ্জ্বলের সংসার
- ‘এক পণ্য এক পল্লী’ একভাগও এগোয়নি যশোরের ৬ উপজেলা
- ঝিনাইদহে মাঠ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
- যে কারণে বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার
- যে কারণে বন্ধ হলো কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের বিশেষ ট্রেন
- খুলে দেওয়া হলো তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট
- যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন তারই মহৎ : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
- কানাডা ও জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
- এমপি আনার হত্যা মামলায় তিন আসামি ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে
- জ্বালানি তেলের নির্ধারিত মূল্য ১ জুন থেকে কার্যকর হবে
- রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে
- দিনাজপুরে বাংলাদেশ স্কাউটসের ‘জেলা মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ’
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জননিরাপত্তা সচিবের শ্রদ্ধা
- পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগে সমবায় সমিতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে
- আর কোন রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- তামাকমুক্ত দেশ গড়তে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত
- বাহুবলে করাঙ্গী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বিশাল এলাকা প্লাবিত
- পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ
- দুর্নীতি ও লুটপাটের শিরোমণি বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
- সুপ্রিম কোর্ট বার-এ যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- মা-বাবার সেবা বিপদমুক্তির অসিলা
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন কাল
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন আজ
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- বিমা দাবি পরিশোধে কমিশন ও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না
- মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আজ
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান
- বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানির চেষ্টার নিন্দা
- ইসলামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ ও বেত শিল্প
- থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
- ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী সবসময় সোচ্চার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি