• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

হোসেনপুরে আলোক ফাঁদে পোকার উপস্থিতি, কীটনাশক ব্যবহার কমবে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৩  

হোসেনপুরে আলোক ফাঁদ ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় আলোক ফাঁদ ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাচ্ছে।

জানা যায়, অনিষ্টকারী পোকামাকড় ফসলের প্রধান শত্রু। এদের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য জমিতে ব্যাপকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এতে উপকার হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এ বিষাক্ত পদার্থগুলো অনায়াসে জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে মাছের বিপদ ডেকে আনছে। পাশাপাশি পরিবেশকে করছে দূষিত।

আলোক ফাঁদ এমন এক প্রযুক্তি, যার ব্যবহারে কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়। পাশাপাশি অনিষ্টকারী পোকার উপস্থিতিও বোঝা যায়। এর খরচ খুবই কম। সহজে পোকা দমন করা যায়। পরিবেশ থাকে অনুকূলে। এতে চাষের উৎপাদন খরচ কমবে, সেইসঙ্গে কৃষক হবেন লাভবান।

হোসেনপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৮টির মতো কৃষি ব্লক রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সব ব্লকের কৃষকদের আলোক ফাঁদ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। উপজেলার জগদল ব্লকের বর্শিকুরা, ডাহরা, জগদল, বিলচাতল গ্রামের কৃষকরা আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। ধূলজুরী গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে আমরা আলোর মাধ্যমে পোকার জন্য ফাঁদ পেতে রাখি। তখন অনেক পোকামাকড় এ ফাঁদে এসে ধরা পড়ে। এতে আমরা সহজেই বুঝতে পারি জমিতে কীটনাশক দিতে হবে কিনা।

জগদল ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মুদাসিল হায়দার আলমগীর জানান, অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে পোকামাকড়ের উপস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব একেএম শাহজাহান কবির জানান, পোকা সন্ধ্যার দিকে আলোর কাছে ধাবিত হয়। সন্ধ্যায় জমির পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে উপকারী ও অপকারী পোকা শনাক্ত করা সম্ভব। সে অনুযায়ী কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল