• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

অনাস্থা ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৩  

ভারতের মণিপুরে চলমান সহিংসতার মধ্যেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে ২৬টি বিরোধী দলের জোট 'ইন্ডিয়া'। বুধবার সকালে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সদস্য গৌরব গগৈ। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) পক্ষ থেকে নম নাগেশ্বর রাও আলাদা আরেকটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেটি গৃহীত হলে সংসদে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদি সরকারের জন্য কোনো সঙ্কট তৈরি হবে না। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে অন্তত ৫০ সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন। ইন্ডিয়া জোটের সেই সংখ্যক সমর্থন থাকলেও প্রস্তাবটি পাস করানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধীদের নেই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) হচ্ছে ভারতের মধ্য-ডান এবং ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট। এই জোটের নেতৃত্বে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ক্ষমতাসীন এনডিএ'র রয়েছে ৩৩১টি আসন। অন্যদিকে বিরোধী দল 'ইন্ডিয়া' জোটের আসন ১৪৪টি। আর লোকসভায় বিআরএসের রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।

বিরোধী দলগুলো বলছে, মণিপুর নিয়ে সরকারের 'নীরবতা' ভাঙাতেই তারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।

ইন্ডিয়া'র অন্যতম শরিক দল শিবসেনা জানিয়েছে, মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি যাতে সংসদে আসেন, সেই কারণেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপির ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। বিরোধীরা আগেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তেলুগু দেশম পার্টি। ৩২৫-১২৬ ভোটে তা খারিজ হয়েছিল।

প্রায় দুই মাস আগে মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো হয়েছিল, সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল পুরুষ তাদের ঘিরে রেখেছে এবং মারধর করছে। পরে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এই ভিডিও টুইটারে ছড়িয়ে পড়লে ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আরও সহিংস হয়ে উঠে রাজ্যটি। নারীদের নিরাপত্তা ও সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে বিরোধী দলগুলো। এ ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল