বাংলাদেশি সিনেটর
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশি সিনেটর
কোনো বাংলাদেশি নির্বাচন নয়, একেবারে আমেরিকার সিনেটর বনে গেলেন বাংলাদেশি শেখ মোজাহিদুর রহমান। বাংলাদেশি-আমেরিকান শেখ মোজাহিদুর রহমান আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নে স্টেট সিনেটর নির্বাচিত হলেন। আমেরিকার যেকোনো পর্যায়ের আইনসভার সদস্য হওয়া প্রথম বাংলাদেশি বলা যায় তাঁকেই। এ ক্ষেত্রে ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হওয়া হ্যানসেন ক্লার্কের কথা উঠতেই পারে। কিন্তু ক্লার্ক থেকে রহমান অনেকটাই এগিয়ে, নিজের শৈশব বাংলাদেশে কাটানোর কারণে। বিপরীতে ক্লার্ক বাংলাদেশি বাবার সন্তান, যিনি কখনো বাংলাদেশকে নিজ চোখে দেখেনইনি।
শেখ রহমানের স্টেট সিনেটর নির্বাচিত হওয়াটা একরকম নিশ্চিতই ছিল। গত ২২ মে তিনি ডেমোক্রেটিক দলের বাছাই পর্বে ৪ হাজার ২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ার পরই বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ ডেমোক্র্যাট আধিপত্যের ওই অঞ্চল থেকে রিপাবলিকান দল সাধারণত কোনো প্রার্থী দেয় না। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। ফলে ডেমোক্রেটিক দলের প্রাথমিক বাছাইয়েই মূল নির্বাচনের আবহ বিরাজ করে। আর এই নির্বাচনে শেখ রহমান বিপল ব্যবধানে পরাজিত করেন দীর্ঘদিন ধরে আসনটি থেকে ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধিত্ব করা কার্ট থমসনকে। ২২ মে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বাছাইয়ে কার্ট থমসন পেয়েছিলেন ১ হাজার ৮৮৫ ভোট।
পুরো আমেরিকার বিচারে বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারে শেখ রহমানকে যদি দ্বিতীয় অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়ও, তারপরও একটি জায়গায় তিনি ঠিকই অনন্য। কারণ জর্জিয়ার ইতিহাসে তিনিই প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে অঙ্গরাজ্যটির স্টেট সিনেটে যাওয়ার গৌরব অর্জন করলেন। এখানে ক্লার্কের কথা একটু বলতে হয়। ক্লার্কের জন্ম হয়েছিল মিশিগানের ডেট্রয়েটে। বাবা ছিলেন বাংলাদেশি, যিনি ক্লার্কের মাত্র আট বছর বয়সে মারা যান। তিনি বেড়ে ওঠেন আফ্রিকান মায়ের সান্নিধ্যে। বাংলাদেশি বাবার পরিচয়টিকে তিনি গর্বভরে তুলে ধরলেও, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সংযোগটি কম। তুলনায় শেখ রহমান পুরোদস্তুর বাংলাদেশি, যিনি চার বছর আগে স্টেট সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তা না হলে চার বছর আগেই উদ্যাপনের এই মুহূর্ত পেত বাংলাদেশিরা।
এবারের বাছাইপর্বে বিজয়ী হওয়ার পর শেখ রহমানের এই বিজয়কে মার্কিন রাজনীতির জন্যই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিবাসনবিরোধী বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে শেখ রহমানের জয় একটি বড় জবাব। নির্বাচনী প্রচারের সময়ও শেখ রহমান তাঁর অভিবাসী পরিচয়টি ভুলে যাননি। তিনি নির্ভয়ে ও সোচ্চারে নিজের অভিবাসী পরিচয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন। গভর্নর নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী যখন অভিবাসন প্রশ্নে মেরুকরণ করছিল, তখন তিনি অভিবাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার চালান। বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বেছে নেন, ‘এবার আমাদের পালা’ স্লোগানকে।
শেখ রহমানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়। তিনি আমেরিকায় আসেন ১৯৮১ সালের ৭ জানুয়ারি। সরকারি কর্মকর্তার সন্তান শেখ রহমান বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্নের পর আমেরিকায় এসে ভর্তি হন সেন্ট্রাল পিডমন্ট কমিউনিটি কলেজে। সে সময় তিনি নর্থ ক্যারোলাইনা রেস্টুরেন্টে ডিশওয়াশারের কাজ করতেন। ঘণ্টায় আয় হতো ৩ ডলার ৩৫ সেন্ট করে। এই কাজ তাঁকে একই সঙ্গে কলেজের পড়াশোনা অব্যাহত রাখা ও ইংরেজিতে দখল আনতে সাহায্য করে। আমেরিকায় আসার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে শেখ রহমান আমেরিকার নাগরিকত্ব পান। এই সময়র মধ্যে জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিকস অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সময়ে তিনি স্টুডেন্ট সিনেটর নির্বাচিত হন। একই সময়ে গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যা তাঁর নেতৃত্বগুণের স্মারক বহন করে।
সিবিএস৪৬-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ রহমান জানান, আমেরিকায় আসার পর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠন ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শার্লোৎসের মেয়র এডি নক্সের হয়ে নির্বাচনী প্রচারও করেছেন। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে প্রচারকাজে অংশ নিলেও নিজে কখনো প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবেননি। এই ভাবনা তার মাথায় প্রথম আসে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
একজন অভিবাসী হিসেবে মূলধারার নির্বাচনে আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন শেখ রহমান। তাঁর মতে, ‘একজন অভিবাসী হিসেবে আমাদের নিজস্ব কণ্ঠ থাকা উচিত। বাইরে থেকে আমরা কিছু করতে পারব না। আমাদের ক্ষমতা কাছে যাওয়া প্রয়োজন। আলোচনার টেবিলে আমাদের আসন দখল করতে হবে। আমি শুধু ওই টেবিলের একটি আসন নিজের করে নিয়েছি।’
এই সাফল্যের কারণ হিসেবে তিনি ভোটারদের ঠিকঠাকভাবে উদ্দীপ্ত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। তারা মনে করত, তাদের ভোটে কিছু হবে না। আমার কাজ ছিল তাদের এটা বোঝানো যে, তাদের ভোট কতটা জরুরি। তাদের ভোটেই সব নির্ধারণ হবে, এই আস্থাটা ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। ফলে তারা কেন্দ্রে এসেছে।’
রহমান জানেন, তাঁর জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে। কিন্তু তিনি প্রস্তুত। ড্রিমার খ্যাত তরুণ অনিবন্ধিত অভিবাসী, অবৈধ অভিবাসী থেকে শুরু করে আমেরিকা থেকে বহিষ্কারের শঙ্কায় থাকা মানুষদের অধিকার রক্ষায় তিনি কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেখ রহমান এই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সফল হবেন বলেই প্রত্যাশা সব বাংলাদেশির।
- ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- দেশে সবার অন্তত ২ কাঠার জমি ও একটি ঘর থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- দেশীয় পণ্যের মেলা শুরু আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিল বাংলাদেশ
- বিদেশে ৬ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের খোঁজ
- আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী
- নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ ॥ জুজুৎসুর সম্পাদক রফিকুলসহ ২ জন গ্রেফতার
- পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার : নানক
- শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : টিআইবি
- স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম
- কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে
- সাংবাদিক প্রবেশের বিষয় স্পষ্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল
- সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়
- সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের....
- তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি
- পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
- দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি
- রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২
- গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদে বাজিমাত
- লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা
- সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- মা-বাবার সেবা বিপদমুক্তির অসিলা
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- বিমা দাবি পরিশোধে কমিশন ও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান