• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

খিঁচুনি বা মৃগী রোগীর নাকে জুতা ধরা কি ঠিক

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  

অনেকেই খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত। অনেকে একে মৃগী রোগ বলে থাকে। তবে খিঁচুনি ও মৃগী রোগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব মৃগী রোগ বংশগত কি না, কারাই বা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং রাস্তাঘাটে কেউ পড়ে গেলে কাছের মানুষেরা কী করবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মৃগী রোগ সম্পর্কে কথা বলেছেন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. নাজমুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

দেখা যায় রাস্তাঘাটে হোক, অফিসে হোক বা যে কোনও কর্মস্থলে হোক, হুট করে কোনও একজন ব্যক্তির খিঁচুনি হওয়া শুরু করল, তখন দেখা যায় আশপাশের মানুষ কিছু অ্যাকটিভিটিসের মাধ্যমে খিঁচুনি বন্ধ অথবা জ্ঞান ফেরানোর জন্য কিছু অ্যাকটিভিটিস করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী, যারা আশপাশে রয়েছে, কীভাবে তাকে স্বাভাবিক করা যায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আপনাকে ধন্যবাদ খুব প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন করার জন্য। প্রায়ই আমরা দেখি যে রাস্তায় একজন লোকের খিঁচুনি হচ্ছে, আশপাশের লোকজন কিছু কাজ করছে। দেখা যায় কেউ কেউ জুতা নিয়ে রোগীর নাকে দেয়, কেউ কেউ ওঝা ডেকে এনে ঝাড়ফুঁক করে। এগুলো সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কার।  এতে খিঁচুনি রোগ কমবে না, বরং রোগীর আরও বড় রকমের সমস্যা হতে পারে।

ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, খিঁচুনি রোগীদের দাঁতে দাঁত লেগে থাকে। দাঁত খোলার জন্য অনেকে চামচ দিয়ে দেয়। আমরা এমন রোগী অনেক পেয়েছি, চামচ ভেঙে গলার ভেতরে ঢুকে রোগীর আরও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো কুসংস্কার, এগুলো করা যাবে না। খিঁচুনি খুব অল্প সময়ের জন্য হয়। রোগীকে যেটা করতে হবে, সে যেন সেফ থাকে। রোগীর হাত-পা কেটে যায়, ভেঙে যায়, সে যেন সেফ থাকে সেদিকে সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে। দুই নম্বর হলো, খিঁচুনির সময় রোগীর মুখে লালা বা যে খাদ্য থাকে, গলায় গিয়ে শ্বাসনালি আটকে যায়। এজন্য রোগীকে একটু বাঁ দিকে কাত করে দিতে হবে। রোগী যেন আঘাত না পায় আর বাঁ দিকে কাত করে দেওয়া, এটাই হচ্ছে নিকটস্থ লোকের দায়িত্ব।

ডা. মো. নাজমুল হক যুক্ত করেন, বেশির ভাগ খিঁচুনি দু-এক মিনিটের বেশি থাকে না। খিঁচুনি থেমে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তখন ডাক্তারেরা খুঁজে দেখবে এটা কেন হচ্ছে, এটা কীভাবে থামানো যায়। খিঁচুনির ওই মুহূর্তে বেশি কিছু করতে যাবেন না। তাহলে রোগীর লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল