• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন সুন্দরবনে পুন:অগ্নিকান্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী: টিআইবি সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪ উত্থাপন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ

কোভিড-১৯ কালে চিকিৎসা সেবায় অনন্য সৈয়দ নজরুল মেডিকেল হাসপাতাল

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২০  

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, অধ্যক্ষ ডা. সজল কুমার সাহা ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা রোগীর সুস্থতায় উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত রেখেছে।

 

মেডিকেল কলেজ ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭২ জনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় তাদের। বাকি এক হাজার ৪০৯ জনকে বাড়িতে ও ভৈরব ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন পরিচালক, সিভিল সার্জন, অধ্যক্ষ ও ভৈরব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২৯৬ জনকে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠানো হয়। ২২ জনকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে। ২৫ জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মাত্র ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান। সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনা ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্নিষ্টরা সাহসের সঙ্গে আন্তরিক চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিয়ে কিশোরগঞ্জকে সুস্থতার দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় ও আন্তরিকতার মাধ্যমে হাসপাতালটিতে করোনা সেবার মান বৃদ্ধিতে চারটি এইচএফএনসি মেশিন ও পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের অবসান হয়েছে। একই সঙ্গে সংকটাপন্ন রোগীদের সহায়ক সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।

 

সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, 'করোনা রোগের প্রকোপ রোধে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ যে সফলতা দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে করোনা রোগীদের পাশে থেকে তাদের সুস্থ করেছেন।'

 

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. আবিদুর রহমান ভূঁইয়া জিমি জানান, কভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় বার বার গাইডলাইন পরিবর্তন হওয়ায় কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ওষুধ মাঝেমধ্যে সংকট ছিল, তবে এখন নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ পুরো টিম আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেওয়ায় সিংহভাহ রোগী সুস্থ হয়েছেন।

 

হাসপাতাল পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও প্রচেষ্টায় যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়, তার উজ্জ্বল উদাহারণ কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। আমরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখিনি বলেই ইতিবাচব ফলাফল ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল