শিকার ও পাচারের শীর্ষে বনরুই
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯
আমরা সবাই বন্যপ্রাণীদের সর্ম্পকে কম-বেশি জানি। তবে আপনি কি এমন কোনো বন্যপ্রাণী সর্ম্পকে জানেন, যেটি কেনার জন্য কালোবাজারে ক্রেতাদের গুনতে হয় কোটি টাকা।
যদি কখনো এমন প্রাণীর কথা না শুনে থাকেন তবে আপনি একা নন। প্রাণীটি প্যাঙ্গোলিন বা বনরুই নামে বেশি পরিচিত। এই লাজুক প্রাণীটি আপনার বিড়াল বা কুকুরের মতোই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাচারকারী স্তন্যপায়ী প্রাণী।
জরিপে জানা যায়, গত দশকে দশ মিলিয়নেরও বেশি পাচার হয়েছে এ প্রাণী। কিন্তু বর্তমানে এ প্রাণীগুলো প্রায় বিলুপ্তের পথে। কিন্তু কেন এই প্রাণীর এতো চাহিদা? চলুন জেনে নেয়া যাক এর বিস্তারিত।
পাঙ্গোলিনের বৈশিষ্ট্য
সর্ম্পূণ পৃথিবী চেনে প্যাঙ্গোলিন হিসেবে, আমি তাকে বলি বনরুই। আঁশযুক্ত শরীর ও মৎসাকৃতি গঠনে বনজঙ্গলে চলাফেরা করার সময় রুই মাছের মতো লাগার কারণে এদেরকে বনরুই বলা হয়ে থাকে। এরা বিপদের আভাস পেলে নিজের শরীর গুটিয়ে নেয় বলে মালয় ভাষায় এদের "পেঙ্গুলিং" বলা হয়, যেখান থেকে এসেছে এদের নাম প্যাঙ্গোলিন। তবে পিঁপড়া ও পিঁপড়া জাতীয় প্রাণী খায় বলে এটি আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত।
এরা ফোলিডোটা বর্গের আঁশযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। মুখে দাঁত না থাকায় পূর্বে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। কিন্তু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বর্তমানে এদের আলাদা একটি দল ফোলিডোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার একমাত্র সদস্য হলো বনরুই। এই আশঁযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীটি বহু সময় ধরে মাসুষের ক্ষমাহীন লোভের শিকার হয়েছে।
কালোবাজারে কেন এই প্রাণীর এত চাহিদা?
আমরা সবাই জানি, বন্যপ্রাণীর চোরাচালান পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কালোবাজার। আর সেই বাজারে সব থেকে বেশি চাহিদা যে স্তন্যপায়ী প্রাণীর, তার নাম হল প্যাঙ্গোলিন। কিন্তু আমরা কি জানি কেন এই প্রাণীর এতো চাহিদা?
আসলে প্যাঙ্গোলিনের শরীর সর্ম্পূণ আঁশ দিয়ে আবৃত। আর কালোবাজারে এই প্রাণীর আঁশের চাহিদা বিপুল। কারণ চীনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে অস্থি সন্ধির ব্যথা ও ক্যান্সার নিরাময়ে এ প্রাণীর আঁশ ও ফিটাস (ভ্রূণ) ব্যবহার করা হয়। যা বিক্রি করা হয় খুবেই চড়া দামে।
আত্মরক্ষার কৌশল
মাথা থেকে একেবারে লেজ পযর্ন্ত বড় বড় শক্ত, পুরু ও ধারালো আঁশ থাকলেও প্যাঙ্গোলিনের কোনো দাঁত নেই। র্দীঘ সরু লম্বা আঠালো জিভের সাহায্যে এরা খারার শিকার করে। পিপীলিকাভুক্ত প্রাণীটি মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। এই প্রাণীর আঁশগুলো সাধারণত কেরাটিন নির্মিত। বনজঙ্গলে হিংস্র প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচতে তারা নিজস্ব আত্মরক্ষার কৌশলও বানিয়েছে। বিপদের আভাস পেলেই তারা নিজেদের শরীরটাকে গুটিয়ে দলা পাকিয়ে নেয়। কুন্ডলী পাকানো দেহটার মধ্যে মাথাপাকে সযত্নে লুকিয়ে ফেলে। তার উপর দিয়ে লেজটাকে টেনে পিঠের উপর শক্ত করে আটকে দেয়। ফলে কোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব হয় না ওই কুন্ডলী ভাঙার বা শক্ত করার। পরিস্থিতি বেগতিক হলে কুন্ডলী পাকানো অবস্থাতেই দ্রুত গড়িয়েও যেতে পারেন। কিন্তু সেই সুযোগে মানুষ-দৈত্য তাকে সহজেই পাকড়াও করে ফেলে। বন্দী প্যাঙ্গোলিনাদের শিকারীরা অনেক টাকাই হাত বদল করে পাচারকারীদের কাছে।
আপনা মাংসে হরিণা বৈরী, প্রবাদটি নিশ্চয় শুনেছেন। ঠিক তেমনি নিজের শরীরাবৃত আঁশই প্যাঙ্গোলিনার সর্বনাশের কারণ হয়ে উঠেছে। যদিও প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঙ্গোলিনের দেহাংশ দিয়ে ওষুধ তৈরির কোনো বিঞ্জানসম্মত ভিত্তি নেই। এগুলো সাধারণত অপচিকিৎসা ও অসচেতন মানুষকে বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল।
প্যাঙ্গোলিনের প্রজাতি
পৃথিবীতে প্যাঙ্গোলিনদের মোট আটটি প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে চারটি এশিয়াতে আর বাকি চারটি আফ্রিকা মহাদেশে। ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সাল পযর্ন্ত কমপক্ষে ১০ লাখ প্যাঙ্গোলিনকে মেরা ফেলা হয়েছে। সিএনএন-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্যাঙ্গোলিনের দু’টি প্রজাতি এরই মধ্যে বিলুপ্তপ্রায়। ফলে বিশ্বের বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় র্শীষে রয়েছে এই নিরীহ প্রাণী।
কোন কোন দেশে এই প্রাণীর চাহিদা সর্বাধিক
প্রসঙ্গত, চীন ও ভিয়েতনামেই প্যাঙ্গোলিনের আঁশের চাহিদা সর্বাধিক। তাদের মাংসও বিক্রি হয়। তবে মূল চাহিদা আঁশেরই। প্রাচীন চীনা ঔষধিতে ওই আঁশ ব্যবহার হয়ে আসছে গত এক হাজার বছর ধরে। সেদেশের বহু প্রজাতির বিশ্বাস ওই আঁশের তৈরি ওষুধ খেলে নাকি মহিলাদের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়ে।
প্যাঙ্গোলিনা ধরার নিষ্ঠুর পদ্ধতি
প্যাঙ্গোলিনগুলোকে ধরার পড়ে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে তাদের হত্যা করা হয়। গরম পানিতে জ্যান্ত ফেলে দিয়ে তাদের মেরে ফেলা হয়। পরে তাদের শরীর থেকে রক্ত বের করে নেয়া হয়। নিরীহ প্রাণীগুলোর প্রতি এমন নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন পশুপ্রেমী ও সংবেদনশীল মানুষেরা।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্যাঙ্গোলিনা দিবস পালন করা হয়। সম্প্রতি বিখ্যাত অভিনেতা কুংফু মাষ্টার জ্যাকি চ্যান একটি ভিডিওতে এ ব্যাপারে সচেতন হতে অনুরোধ করেছেন। তবুও প্যাঙ্গোলিনা পাচ্ছে না ছাড়। বিশ্বে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে প্যাঙ্গোলিনা শিকার হচ্ছে। বিলুপ্তের সম্ভাবনা ছাড়া যেন তাদের আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
- ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- দেশে সবার অন্তত ২ কাঠার জমি ও একটি ঘর থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- দেশীয় পণ্যের মেলা শুরু আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিল বাংলাদেশ
- বিদেশে ৬ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের খোঁজ
- আজ থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু
- স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী
- নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ ॥ জুজুৎসুর সম্পাদক রফিকুলসহ ২ জন গ্রেফতার
- পাটকলগুলো নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছে সরকার : নানক
- শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : টিআইবি
- স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করছে সরকার
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- জীবন দিয়ে দেশ বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করবো : নাছিম
- কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে
- সাংবাদিক প্রবেশের বিষয় স্পষ্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল
- সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়
- সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের....
- তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি
- পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
- দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি
- রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২
- গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদে বাজিমাত
- লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা
- সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- মা-বাবার সেবা বিপদমুক্তির অসিলা
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে
- বিমা দাবি পরিশোধে কমিশন ও সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান