• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রপ্তানির বড় বাজার হয়ে উঠছে দক্ষিণ আমেরিকা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩  

বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির গন্তব্যস্থল হিসেবে এতদিন অপ্রচলিত বাজার ছিল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো। বাংলাদেশ থেকে অবস্থানগত দূরে হওয়ার কারণে এতদিন এসব দেশের বাজারে পণ্য কম রপ্তানি হতো। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বড় রপ্তানি বাজারে পরিণত হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাকসহ বিভিন্ন সেক্টরের পণ্য ভালো বাজার পাচ্ছে। লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকায় দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশ দূতাবাস খুলছে। আর্জেন্টিনার পর সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী মেক্সিকো। এরই অংশ হিসেবে এ বছর বাংলাদেশে দূতাবাস চালুর পরিকল্পনা করছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং চিলি বাংলাদেশকে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দেওয়ায় লাতিন আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানি ২০ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ৬২ কোটি ১২ লাখ ডলারের বাজার হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে যা ছিল ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে অর্জেন্টিনাতে রপ্তানি হয়েছে ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৯৫ দশমিক ২৪ ডলারের পণ্য। আগের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৬১৫ দশমিক ৮ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। বড় রপ্তানি কারক দেশ ব্রাজিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪ কোটি ২১ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৯ দশমিক ৯৩ ডলারের পণ্য। আগের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮ দশমিক ৯৩ ডলারের পণ্য। পেরুতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৩১৯ দশমিক ৮৯ ডলারের পণ্য। আগের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ৭৬৭ দশমিক ৫৩ ডলারের পণ্য।

লাতিন আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আনোয়ার শওকত আফসার বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ থেকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কম ছিল। আগের তুলনায় এখন অনেক লজিস্টিক সাপোর্ট উন্নত হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেল সহজ হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যবসা পরিধি বড় হচ্ছে। আর্জেন্টিনা দূতাবাস খুলেছে। মেক্সিকো দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ব্যাপক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা মাংসের বাজারের দিকে নজর দিচ্ছি। সরকার অনুমতি দিলে দেশের ভোক্তাকে ৪০০ টাকার মধ্যে মাংসের ব্যবস্থা করতে পারব। দক্ষিণ আমেরিকায় আমাদের দেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য ছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। পোশাক ব্যবসায়ীরা জানান, ‘লাতিন আমেরিকা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের জন্য একটি বড় বাজার। এর কারণ বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা তাদের ফ্যাশন ও স্টাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য সরবরাহ করতে পারে।’ বাংলাদেশ থেকে গুয়াতেমালা ও কলম্বিয়ার মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ডেনিম কাপড়ের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল