• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মোটরযানে অবৈধ এলইডি হেডলাইট ব্যবহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৩  

সড়ক পরিবহনে যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ এলইডি হেডলাইট। এতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। গাড়ীর উজ্জ্বল আলোর কারণে ক্ষতি হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিশক্তির। তাই দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি রোধে যানবাহনের হেডলাইটের অর্ধেক অংশ কালো রং করার সুপারিশ করে জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। 


উল্টো হেডলাইটের অর্ধেক কালো রং করার বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্থাটি। তবে যানবাহনের উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্রণে হেডলাইটের অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটের ব্যবহার বন্ধের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদের।
জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গত বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর রাতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয় দুই কিশোর। স্থানীয়রা জানান, ট্রাকের উজ্জ্বল আলোর কারণে রাস্তা দেখতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মোটরসাইকেলটি। এর আগে একইভাবে রংপুরে রাতের যানবাহনের উজ্জ্বল আলোর কারণে সড়কের গতিরোধক দেখতে না পেরে মোটরসাইকেল উল্টে নিহত হয়েছিল দুই যুবক। 


এভাবে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের অবৈধ এলইডি হেডলাইটের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারী নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বেসরকারি তথ্যমতে গত এক বছরে ৬৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ জন নিহত ও ১২৩৫৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯০০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০০ জন আরোহী ও সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে। এ সব দুর্ঘটনায় বেশিভাগেই বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে সংগঠিত হয়েছে।


দুর্ঘটনার জন্য যানবাহনের বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক অভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের অদক্ষতার পাশাপাশি যানবাহনের অবৈধ এলইডি হেডলাইটের কারনেও বেশি ঘটছে বলে মনে করেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তাই যানবাহনের উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্রণে হেডলাইটের অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটের ব্যবহার বন্ধের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ তাদের।


এ বিষয়ে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘বর্তমানের বিভিন্ন যানবাহনে উজ্জ্বল আলোর এলইডির হেডলাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সব বাতি সহজে কিনতে পাওয়া যায়। গাড়ীর ফিটনেসের সময় এই সব লাইটের মান নির্ণয় করা হয়। হেডলাইটের আলোতে মানুষের চোখের যেন সমস্যা না হয় সে বিষয়গুলো দেখা হয়। কিন্তু বর্তমানের বিআরটিএর কর্মকর্তারা গাড়ীর ফিটনেসের জন্য এখন শুধু টাকা জমা দেয়ার রশিদ বুঝে নেওয়া হয়। গাড়ীর যাবতীয় ফিটনেস তারা দেখে না।


তাই শুধু মহাসড়কে নয় রাজধানীরসহ সারাদেশের যানবাহনে এখন তীব্র আলোর এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সব লাইট ব্যবহারে চালকদের অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে ফিলে দেয়। এর ফলে শুধু মহাসড়ক নয় রাজধানীর ভেতরে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।’ তাই যানবাহনের উজ্জ্বল আলো নিয়ন্ত্রণে হেডলাইটের অর্ধেক অংশে কালো রং লাগানো ও অবৈধ এলইডি হেডলাইটের ব্যবহার বন্ধের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।   
মোটরযানে এলইডি লাইট ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ ॥ শুধু ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও রংপুর আঞ্চলিক সড়ক নয় সারাদেশের সব রকম যানবাহনে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে উজ্জ্বল আলোর এলইডি হেডলাইট। মাত্র ৩০০ থেকে ১২০০ টাকায় এসব কম দামী এলইডি হেডলাইট ব্যবহার করছে ট্রাক, পিকআপ, বাস, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা ও নসিমন-করিমনসহ ছোট যানবাহনগুলো।


রাজধানীর ঢাকার প্রতিটি সড়কে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলইডি হেডলাইটের ট্রাক-পিকআপসহসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো। অথচ মোটরযানের প্রকৃত হেডলাইট ব্যতীত অন্য যে কোনো লাইটযুক্ত করে যানবাহন চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ ও দ-নীয় অপরাধ বলে জানান সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী জানান, ‘গাড়ীর সঙ্গে যুক্ত হেডলাইট ব্যতীত অন্য যে কোনো এলইডি লাইট ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে হেডলাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে মোটরযান চালাতে হবে চালকদের। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে চালকদের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে।’  
জানা গেছে, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনায় নতুন কারনযুক্ত হয়েছে যানবাহনের এলইডি লাইট। অত্যধিক উজ্জ্বল ও সাদা আলোর কারণে ইদানীং অনেকেই যানবাহনের হেডলাইট হিসেবে এই বাতি ব্যবহার করছে। এলইডি হেডলাইটের আলোর এত তীব্র যে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালকরা কিছুই দেখতে পায় না। মুহূর্তে যেন অন্ধকার হয়ে যান। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির এটি একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, ‘বর্তমানে বিভিন্ন গাড়ীতে কম দামের এ সব এলইডি লাইটের উজ্জ্বল আলো ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। এ সব উজ্জ্বল আলোর কারণে বিপরীত থেকে আসা গাড়ীর দূরত্ব বুঝা যায় না। কাছকাছি আসতে দুর্ঘটনার শিকার হয় ছোট যানবাহনগুলো।


এ ছাড়া গাড়ীর উজ্জ্বল আলোর কারণে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। তাই গাড়ীতে কম দামের এ সব এলইডি লাইট ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত।’ এ ছাড়া যানবাহনের হেডলাইটের কারণে যাতে অন্য চালকের চোখের সমস্যা না হয় সেজন্য হেডলাইটের অর্ধেক কালো রং করার পরামর্শ দেন তিনি।
সাড়ে তিন বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ॥ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ‘দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি রোধে যানবাহনের হেডলাইটের অর্ধেক অংশে কালো রং করার সুপারিশ’ করে জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইটিএ)। উল্টো হেডলাইটের অর্ধেক কালো রং করার বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংস্থাটি।
বিআরটিএর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে স্থায়ী কমিটিকে প্রেরণ করা এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাতের বেলা বা কম আলোতে সড়কপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাভাবিকভাবে মোটরযান চালানোর সময় সড়কের ট্রাফিক কন্ডিশন বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী উভয় হেড লাইটের আপার (উপরে) ও লোয়ার (নিচের) বীম ব্যবহার করা হয়। রাতের সড়কপথের গাড়ী চালানোর সময় সামনের দূরবর্তী পথে কোন মোটরযান আছে কিনা তা দেখার জন্যই চালক কেবল আপার বিম ব্যবহার করবে।

তবে বিপরীত দিক থেকে আসা কোন গাড়ী  দেখা মাত্র আপার বিমের পরিবর্তে হেডলাইটের লোয়ার বিম ব্যবহার করাই প্রচলিত ট্রাফিক রীতি। এ বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটলে সেটা চালকের ত্রুটি। তাই এই ত্রুটিপূর্ণ ড্রাইভিংয়ের জন্য মোটরযান আইন অনুযায়ী  দ-নীয় অপরাধ।
তবে এজন্য হেডলাইটের উপরের অংশে কালো রং করা হলে রাতে মোটরযান চালানোর সময় দূরবর্তী ট্রাফিক কন্ডিশন দেখতে সমস্যা হবে। এতে দ্রুতগতির মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। ফলে মুখোমুখি সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি রোধে যানবাহনের হেডলাইটের অর্ধেক অংশে কালো রং না করে প্রয়োজন অনুযায়ী হেডলাইটের আপার ও লোয়ার বীম ব্যবহারের জন্য চালকদের প্রশিক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন বিআরটিএর কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, ‘বিশ্বের কোথাও গাড়ীর হেডলাইট অর্ধেক কালো করার নিয়ম নেই। গাড়ীর হেডলাইন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারের বিষয়ে চালকের প্রশিক্ষণ আরও কড়াকড়ি করা দরকার। তবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে গাড়ী হেডলাইটের আপার বিম ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।’ তাই এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. রুহুল আমিন জানান, ‘গাড়ী অবৈধ এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সময় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু মহাসড়ক এত গাড়ী যে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবু আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’ 
উজ্জ্বল আলোতে দেখতে সমস্যা হয় অন্য চালকদের ॥ সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, শুধু বাস-ট্রাক নয় সব ধরনের যানবাহনে এখন উজ্জ্বল আলোর এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন কি সিটি করপোরেশনের ময়লা পরিবহনের গাড়ীতেও হেডলাইটের পাশাপাশি দুই থেকে তিনটি করে উজ্জ্বল আলোর এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাস্তা পারাপারের গাড়ী দূরত্ব বোঝা যায় না। এ ছাড়া গাড়ীর আলো সরাসরি চোখের পড়ার কারণে দেখতে সমস্যা হয় ভুক্তভোগী চালক ও পথচারীরা জানান।
এ বিষয়ে রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় মিলন নামের এক পথচারী জানান, ‘রাতের বেলায় মানিকনগর এলাকায় রাস্তা পারাপারে অনেক সমস্যা হয়। এমনতেই জনপথ সড়কটি যানবাহনের চাপ থাকে বেশী। তারপর গাড়ীর লাইটের তীব্র আলোর কারণে গাড়ীর দূরত্ব বুঝা যায় না। গাড়ী হেডলাইটের আলোর সরাসরি চোখে পড়ে এতে রাস্তা দেখতে সমস্যা হয়।’ তাই মানিকনগর বাস স্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয় বলে জানান তিনি।
আনোয়ার হক নামের এক মোটরসাইকেল চালক জনকন্ঠ’কে বলেন, ‘বড় বড় বাস ও ট্রাকসহ সব গাড়ীতে এখন তীব্র আলোর এলইডি লাইট ব্যবহার করে। এতে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে অনেক সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যে বাইক থামিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি। বড় বাস ও ট্রাক যাওয়ার পর আস্তে আস্তে যেতে হয়। কারণ এই তীব্র আলোর কারণে রাস্তা দেখা যায় না।একটু বেগতিক চালালেই বাস ও ট্রাকের নিচে চাপা পড়তে হবে।’ 
দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা ॥ এলইডি লাইট মানুষের চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, সহনীয় মাত্রার বেশি আলোকরশ্মি উৎপন্ন করায় এলইডি লাইট সরাসরি চোখের রেটিনায় আঘাত করে। এতে দৃষ্টিশক্তির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কাজেই যানবাহনে এ ধরনের লাইটের ব্যবহার পরিহার করা উচিত।

রাজধানীসহ শহরাঞ্চলের যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। বর্তমানে বাস, ট্রাক থেকে শুরু করে পিকআপভ্যান, অটোরিকশা, এমনকি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যানে ব্যবহার করা হচ্ছে এ সব এলইডি লাইট। এতে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে মানুষের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘যানবাহনে এলইডি লাইটের উজ্জ্বল আলোর কারণে মানুষের চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চলারপথে যখন অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ তীব্র আলো চোখে পড়লে দৃষ্টিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। তখন সামনের কিছুই দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া যাদের দৃষ্টিশক্তি কম অনেক সমস্যা হয়। এটা দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হলে মানুষের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকবে।’ তাই যানবাহনের এ সব অবৈধ এলইডি লাইট বন্ধের পরামর্শ দেন তিনি। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল