চা উৎপাদনের নতুন অঞ্চল হচ্ছে ময়মনসিংহ
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০
বাংলাদেশে চা উৎপাদনকারী এলাকা বলতে সিলেট, চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড়কে ধরা হয়। এসব এলাকার পাশাপাশি গারো পাহাড়ের এলাকা বৃহত্তর ময়মনসিংহ এই অর্থকরী ফসল চা উৎপাদনের নতুন অঞ্চল হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলের পাঁচ জেলায় প্রায় ১৪ হাজার একর জমি রয়েছে, যেখানে চা চাষ সম্ভব। এসব জমিতে চা চাষ হলে বছরে এক কোটি ৬৩ লাখ কেজি চা উৎপাদন হবে। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলে ছোট পরিসরে চা চাষ বাড়াতে নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে চা বোর্ড। এক হাজার ২৩৫ একর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণে ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার এ প্রকল্প এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রকল্পটির যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চা বোর্ড জানায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও সামাজিক উন্নয়নের ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বড় চা বাগান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য ছোট পরিসরে চা চাষ বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকার নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। পঞ্চগড়ে প্রথম ছোট পরিসরে চা চাষ শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙামটি এবং বান্দরবান জেলায় ছোট চা চাষ প্রকল্প সম্প্রসারণ করে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলে আট হাজার ৬৮০ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। এ থেকে বছরে ৯৬ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়।
চা বোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি সারাদেশে চা চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। এতে দেখা গেছে, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়সহ বাইরে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল এবং কক্সবাজার জেলায় মোট এক লাখ এক হাজার ৭২ হেক্টর চা চাষযোগ্য জমি রয়েছে।
২০০৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার চা চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। এতে দেখা গেছে, এ অঞ্চলের মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়া চা চাষাবাদের অত্যন্ত উপযোগী। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায় এক হাজার ১২০ একর, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দীতে এক হাজার ১৫০ একর, ঝিনাইগাতীতে এক হাজার ৮৫৫ একর ও নালিতাবাড়ীতে আড়াই হাজার একর, জামালপুরের বকশীগঞ্জে ৬০০ একর ও নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক হাজার ৭৭০ একর ও কলমাকান্দায় এক হাজার ৫০ একরসহ মোট ১০ হাজার ৪৫ একর জমিতে চা আবাদ সম্ভব। এর পর চা বোর্ড আরও একটি প্রকল্পের অধীনে এ অঞ্চলে জরিপ করে। গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ওই জরিপে দেখা গেছে, ময়মসিংহের মুক্তাগাছায় ৩০০ একর, ফুলবাড়িয়ায় ৫০০ একর, ভালুকায় ৪০০ একর ও টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৬০০ একর, ঘাটাইলে ৫০০ একর এবং সখীপুরে ৫০০ একর। এ এলাকায় আরও দুই হাজার ৮০০ একর জমিতে ছোট পরিসরে চা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাঁচ জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা আবাদ সম্ভব।
চা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ২৭ কৃষকের মধ্যে ২৭ হাজার উন্নত জাতের চা চারা বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে চারা রোপণ। ইতোমধ্যে শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায় ছয়জন, নালিতাবাড়ী উপজেলায় তিনজন, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৩ জন, নকলা উপজেলায় চারজন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় একজন কৃষক ৫ দশমিক ৩১ একর জমিতে চা চাষ শুরু করেছেন। নতুন করে আরও চাষিকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে চা বোর্ড। চাষিদের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত শনিবার চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলীসহ পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টিম শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ী এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ছোট ছোট চা বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করেন ও চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
শেরপুরে শুরু থেকে চা চাষ করছে 'গারো হিলস টি কোম্পানি'। এ কোম্পানির কর্ণধার আমজাদ হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে চা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। মাটি ও আবহাওয়া চা চাষের উপযোগী। এখন দরকার ছোট ছোট চাষিদের চাষে উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়া।
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে কাজ করবে ডিএনসিসি
- উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্ত্রী-সন্তানদের প্রার্থিতা মানা
- আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
- ৪০ ফিলিস্তিনি নারীকে সুখবর দিল বাংলাদেশ
- সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা নেসার প্রতিনিধিদলের
- থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পাচ্ছে কারা
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- যে কারণে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সহজে জয় পেল টিম টাইগার্স
- বকশিবাজারে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
- রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- উত্তরায় রিকশাচালকদের ছাতা-পানির বোতল দিলেন মেয়র আতিক
- পথচারীদের পানিশূন্যতা রোধে রক্তের সন্ধানের উদ্যোগ
- রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার
- ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ২৯
- রাতে বৃষ্টি হলেও সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
- অবশেষে রাজধানীজুড়ে নামল স্বস্তির বৃষ্টি
- হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন পোশাক শ্রমিক
- স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা
- বাড়ির পাশে ব্রিজ নির্মাণ করতে বুয়েটের নকশা বাদ!
- কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ভাইয়ের লড়াই
- ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
- জালে উঠলো শিশুর নিথর দেহ
- পেকুয়া উপজেলা বিএনপি নেতা রাজুকে শোকজ
- ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: তিন তদন্ত কমিটি
- ভয়াবহ নাব্য সংকট: ব্রহ্মপুত্র-নরসুন্দা এখন স্রোতহীন মরা খাল
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস আজ
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরবেন
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ
- বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৪৫ কর্মকর্তা
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনাগুলো দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
- ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচার সংবর্ধনা
- আজ আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন রাশিফল
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির এক সন্ত্রাসী নিহত
- বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- বান্দরবানে সংঘর্ষে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার!