• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৩  

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন নিয়ে করা রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদ প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদ নয়।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ৩৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।


পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) সাবেক কমিশনার পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও, তা কোনোভাবেই রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়া থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে না, কারণ রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের লাভজনক পদ নয়।’

মো. সাহাবুদ্দিনকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। 

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘‘আমরা মনে করি যে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘লাভজনক পদ’ হলেও, প্রজাতন্ত্রের সেবাদানে এটি লাভজনক পদ নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়া প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য সেবায় নিয়োগের মতো নয়।’’ এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতির কার্যাবলী সংক্রান্ত বিধান প্রজাতন্ত্রের সেবায় অন্যান্য কর্মচারীদের প্রবিধানের অনুরূপ নয়।

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা মনে করি যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং নিয়োগ একই অর্থ বহন করে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ‘ঐক্যের প্রতীক’। আর, সংবিধানের নবম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিযুক্ত কর্মচারী।’

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুইটি রিট আবেদন গত ১৫ মার্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, রিট দুটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ। ওই রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করার জন্যও হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান ৭ মার্চ এবং আবদুল মমিন চৌধুরী ১২ মার্চ দুটি রিট আবেদন দাখিল করেছিলেন। এরপর ২১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ১৫ মার্চের আদেশ বহাল রাখেন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল