• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে:প্রধানমন্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮  

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত তোষাখানার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের কেবল স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি আমাদের মর্যাদাও দিয়ে গেছেন। এই মর্যাদাকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১০ বছরে জনগণের জীবনমান উন্নত হয়েছে। এই জীবনমানের আরও উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব এবং ওই সময়ের মধ্যে দেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে।

রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উপহার সামগ্রী দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসব সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে তার নামে এবং নৌকার প্রতীক সংবলিত অনেক উপহার, বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্র বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ধ্বংস করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে এই তোষাখানার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করায় তিনি সংশ্লিষ্টদের জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পরপরই দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য তোষাখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ‘তোষাখানা আইন ১৯৭৪’ (রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা) প্রণীত হয় এবং বঙ্গভবনে এই তোষাখানা স্থাপন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, পরবর্তী সময় এই তোষাখানার জন্য পৃথক ভবনের প্রয়োজন হওয়ায় তার নির্দেশনায় নান্দনিক তোষাখানা ভবন নির্মাণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম। এতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার বক্তব্য দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় তোষাখানার পাঁচতলার অত্যাধুনিক ভবনের আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুট। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই তোষাখানায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় উপহার সংরক্ষণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল