• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর তৈরি হলো ময়মনসিংহে!

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩  

ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি-৭০০ মডেলের আদলে একটি স্পোর্টস কার তৈরি করা হয়েছে ময়মনসিংহে। আব্দুল আজিজ নামে এক মোটর মেকানিক ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ১৫ মাসে তৈরি করেছেন আকর্ষণীয় এ গাড়ি।
ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় শাহাদত মোটর ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করেন আব্দুল আজিজ। তিনি থাকেন নগরের শম্ভুগঞ্জ এলাকায়। তবে তার বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জের নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের জাকনিপুর গ্রামে। 

প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইউটিউব দেখে বিশ্বখ্যাত ইতালিয়ান স্পোর্টস কার ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি-৭০০ মডেলের আদলে গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন আজিজ। ২০২১ সালের শেষের দিকে টয়োটা স্টারলেট পুরোনো গাড়ি সংগ্রহ করেন তিনি। সেই গাড়ির বাইরের অংশ খুলে বাদ দিয়ে তার মধ্যে ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি-৭০০ মডেলের মতো ডিজাইনের কাজ শুরু করেন। এ কাজে আব্দুল আজিজকে সহায়তা করেছেন ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া ওয়ারলেস মোড় এলাকার ফালু ড্রাইভারের ছেলে গ্যারেজ মিস্ত্রি আরাফাত ইসলাম ইমন। গাড়িটির বাহ্যিক দিকের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলেও ভেতরে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজ।

ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির হলুদ রঙের গাড়িটি এখন প্রায় সময় থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শাহাদত মোটর ওয়ার্কশপের ভেতরে। আব্দুল আজিজ বলেন, ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি-৭০০ মডেলের গাড়ি মোবাইল ফোনে দেখে সে আদলে একটি গাড়ি বানাতে শুরু করি। এতে এরই মধ্যে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। গাড়িটি বানাতে ১১ লাখ টাকা অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি। পুরোনো গাড়ি মডিফাই করে সহযোগীদের নিয়ে ল্যাম্বারগিনির আদলে করা হয়েছে।    

তিনি আরো জানান, তার তৈরি গাড়িটি ঘণ্টায় মধ্যে ১২০ কিলোমিটার বেগের গতিতে চলে। বাইরের অংশটা আসল ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এলপি-৭০০ মডেলের মতো দেখা গেলেও ভেতরটা সে রকম করা সম্ভব হয়নি। কারণ এতে খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

গাড়িটি যেন দেশের সড়কে চালাতে অনুমতি দেয় এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তবে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে নিজস্ব নকশায় স্পোর্টস কার তৈরি তার পক্ষে সম্ভব জানিয়ে আব্দুল আজিজ বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস শ্রম দিয়ে একটা গাড়ি তৈরি করে যদি এটাকে রাস্তায় না চালাতে পারি তাহলে আমার পরিশ্রমটা বৃথা। এটার যাতে রোডপারমিটের ব্যবস্থা হয়। একইসঙ্গে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি কোনো ব্র্যান্ডের আদলে নয়, আমাদের নিজস্ব ডিজাইনের গাড়ি তৈরি করতে পারবো।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল