• বুধবার ২২ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

বগুড়া-৪ আসনে নৌকা-লাঙ্গলের মার্কা প্রত্যাশী নারীসহ ১৩জন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২  

বগুড়া-৪ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের পদত্যাগে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। এ নির্বাচনে নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০জন এবং লাঙ্গল মার্কা প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন তিন নেতা। দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় না থাকলেও নির্বাচনের হাওয়ায় দলীয় মনোনয়নের আশায় অনেকে এখন প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের নেতারা। 

আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০জন হলেন- বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি, ১৪ দলের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আহসানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল করিম কল্লোল, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইউনুস আলী, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুজা চৌধুরী। এদের মধ্যে অনেকেই গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে ছিলেন। ভোটের পর থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় না থাকলেও উপ-নির্বাচনের হাওয়ায় তারা ফের মাঠে ফিরেছেন। 
জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন হলেন- পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাপার যুগ্ম আহবায়ক মো. ফারুক আহমেদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম দয়া এবং রওশন এরশাদপন্থী জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি বগুড়া কমিটির আব্দুস সালাম বাবু। তবে এই আসনের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আগাম মনোনয়ন ২০২১ সালেই পেয়েছেন মো. ফারুক আহমেদ। নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, ফারুক আহমেদ তৃণমূলে নিয়মিত সক্রিয় সাংগঠনিক কর্মকান্ড করাসহ নির্বাচনী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। তৃণমূলে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী ভিত গড়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া নজরুল ইসলাম দয়া নন্দীগ্রামে তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য কাজ করছেন। তবে রওশন এরশাদপন্থী হিসেবে পরিচিত আব্দুস সালাম বাবুকে কখনো বগুড়া-৪ আসনে দলীয় কার্যক্রম করতে দেখা যায়নি। 
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের দূর্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি। নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমসহ দীর্ঘদিন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সরব প্রচারণায় রয়েছেন। বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে পরাজিত হন। অনেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার সাঁটালেও এই আসনে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তাদের দেখা যায়না। 
নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ আসনের আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের নেতারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। অন্তবর্তী সময়ের জন্য সংসদে গিয়ে ভবিষ্যৎ পরিস্কার করার চিন্তা করছেন নেতারা। 
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে- বগুড়ার আলোচিত ও সমালোচিত অভিনেতা আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম, নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের অন্যতম নেতা কাহালু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা তায়েব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেম, বিএনএফের জীবন রহমান।
 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল