৮৫ হাজার কোটি টাকার দেশীয় প্লাস্টিক পণ্য রফতানির টার্গেট
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১
দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রফতানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান এ শিল্পখাত ১ বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রফতানি করছে বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। দেশের প্রতিটি মানুষ গড়ে ৫-৭ কেজি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করছে। কিন্তু দশ বছর পর তা ৭ গুণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫-৪০ কেজিতে। এ কারণে প্লাস্টিক পণ্যের গুণগত মান বাড়ানো এবং দক্ষ জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, শুরুতে গার্মেন্টস পণ্যও সীমিত আকারে রফতানি হতো এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে। প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বাড়াতে সরকার সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দেবে।
শনিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ পানগাঁও কনটেইনার পোর্ট রোডে প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দক্ষ জনবল তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনসহ এ শিল্পখাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিপেট (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইপিইটি)। এ লক্ষ্যে সরকার বিপেটের অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ সহায়তাসহ সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দেবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন, সংগঠনটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট এস এম কামাল উদ্দিন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান চৌধুরী প্রমুখ।
টিপু মুনশি বলেন, প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত, বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। পণ্যের মান, ডিজাইন ও দক্ষতা দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ শিল্প খাত উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। এ ইনস্টিটিউট দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এক সময় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করত। আজ বাংলাদেশ এসব প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করছে। তিনি বলেন, সরকার এখন মুক্তবাণিজ্য ও অগ্রাধিকার বাণিজ্যচুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে বিশ্ব বাজারে রফতানি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। পণ্যের গুণগতমান বজায় থাকলে আন্তর্জাতিক বাজার ধরা সম্ভব। মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বিপেটের মাধ্যমে প্লাস্টিক শিল্প খাতের দক্ষ জনবল তৈরি হবে। সারা বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১৩০ কেজি প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার হয়, সেখানে বাংলাদেশে হচ্ছে মাত্র ৫-৭ কেজি। কিন্তু আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ মাথাপিছু ৩৫ কেজি প্লাস্টিকের চাহিদা তৈরি হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্প খাতের ৫ হাজার কারখানায় বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আগামীতে আরও কর্মসংস্থান বাড়াতে এখাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। এজন্য সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিপেটের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে আরও ২৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। সংগঠনের পক্ষ থেকে টাকা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এই অর্থের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে প্লাস্টিক শিল্প খাত।
প্রসঙ্গত, প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের সঙ্কট দীর্ঘদিনের। এই সঙ্কটের সমাধানে সরকারের সহায়তায় উদ্যোক্তারা প্রায় আট বছর আগে বিপেট (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি-বিআইপিইটি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু করোনাকালীন সঙ্কটের কারণে বেশকিছু দিন থমকে ছিল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্লাস্টিক খাতের অবদান প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। প্লাস্টিকের তৈরি প্রচ্ছন্ন রফতানি পণ্যের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি, এ শিল্প খাতে দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে বর্তমানে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিল্প গড়ে উঠেছে। এর অধিকাংশ বা সাড়ে তিন হাজারের মতো ক্ষুদ্র, প্রায় দেড় হাজার হলো মাঝারি। বড় শিল্প-কারখানা আছে অর্ধশত। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করছে।
- রোহিঙ্গাদের জন্য বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- নাস্তানাবুদ শ্রীলংকা, বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
- ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন
- আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
- ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- স্মার্ট ডাক সেবার যুগে ভাসানচর: পলক
- আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০২ কোটি ডলার
- কী আমাদের অপরাধ, দেশ স্বাধীন করা, উন্নত করা?
- কয়লা তোলার উদ্যোগ
- শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছেন
- পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেনে কথা সাহিত্যক সেলিনা হোসেন
- সিলেটে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ৫
- আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই : রেলপথ মন্ত্রী
- খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল
- করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন
- কুমিল্লায় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- পিনু খানের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
- ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্তকরণ কার্যকর থাকবে : হাইকোর্ট
- মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা
- জন্মদিন উদযাপিত : বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে হবে
- নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে ডিসি সম্মেলনে
- বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সারা দেশে বন্ধ হলো ১২২৭ অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক
- জেলেনস্কিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান
- ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল
- মুজিব শতবর্ষ ভাষা জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল: এপ্রিলেই শেষ শতভাগ কাজ
- প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- এগিয়ে চলার শপথ
- পিলখানা: প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্ত গণহত্যা এড়াতে সাহায্য করে
- একটানা টাঙ্গাইল শাড়ি পরার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশে বাড়ল মাথাপিছু আয়
- আট লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ‘দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
- প্রথমবার ছেলেরা মেয়েদের যে ৫ বিষয় খেয়াল করে
- ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
- টাঙ্গাইলের নিরাপদ সবজি বিদেশে রফতানির উদ্যোগ
- টাঙ্গাইলে দু’টি ক্লিনিক সিলগালা, ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা