• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

১০ বছরে প্রথম আলো সম্পাদকের সম্পদ বেড়েছে ৪১৯গুণ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

‘বদলে যায়, বদলে দাও’ স্লোগানে দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষদের মনে জায়গা করার চেষ্টা করেছেন প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান।  মতিউর রহমান ঠিকই বদলে দিয়েছেন তার ও পরিবারের ভাগ্য।  পত্রিকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিগত দশ বছরে ৪১৯ গুণ সম্পদ বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।  বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যের বরাতে খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। 

এদিকে ‘সাধারণ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান।  অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় গড়ে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার জন্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও সুপারিশ করেন তিনি। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের খবরের বরাতে জানা যায়, বিগত দশ বছরে মতিউর রহমানের সম্পদের পরিমাণ ৪১৯ গুণ বেড়েছে।  গুঞ্জন রয়েছে, মতিউর রহমানের আয়কর বহির্ভূত সম্পদের ৭২ শতাংশ অর্থাৎ ৬ শত ৫৩ কোটি টাকা নিজ ও স্ত্রী মালেকা বেগমের নামে রয়েছে।  পাশাপাশি ছেলে মাহমুদুর রহমান শাশার নামে ২ হাজার ১৬২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।  জানা গেছে, প্রথম আলোর নামে চাঁদাবাজি করে এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার বদৌলতে তিনি অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিশেষ করে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি ও মাহফুজ আনাম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতাদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ক্রমাগত সংবাদ প্রচার করতে থাকেন। পরবর্তীতে অবশ্য মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম মিথ্যাচার ছড়ানো ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েও শ্রদ্ধার স্থানটি ফিরে পাননি। আজও মানুষ এই দুজন সম্পাদককে ইসরাইলের চর হিসেবেই চেনে। মতিউর রহমান শুধু গণমাধ্যমকে জিম্মি করে রাখেননি, বরং তার কুপুত্র শাশা বিজ্ঞাপনী সংস্থা গঠন করে প্রথম আলোর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক কাজ আদায় করে থাকে। শাশা শুধু চাঁদাবাজই নন, মাদকে চরমে ভাবে আসক্ত। তার মাদকাসক্তি নিয়ে বাবা মতিউর রহমান বরাবরই বিব্রত হন, এমন খবর ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিশদভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ছেলের মাদকাসক্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে মতিউর রহমান কয়েকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলে মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে।

মতিউর রহমানের পাহাড়সম সম্পদ ও যোগ্যতার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এই তো সেদিন আজকের কাগজ পত্রিকায় মতিউর রহমান আমার সাব-অর্ডিনেট হিসেবে কাজ করতো।  তখন তো সে একপাতা সংবাদ লিখতে কলম ভেঙ্গে ফেলতো।  আজকের মোসাদের টাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক হয়ে বড় বড় কথা বলে মতিউর রহমান।  একটা পত্রিকার সম্পাদক কত টাকা বেতন পায়! মতিউর রহমানের ঠাট-বাটে মনে হয় তার কোটি টাকা বেতন।  আসলে মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম মোসাদের পেইড এজেন্ট।  তারা দুজন ইসরাইলের ফ্রন্টম্যান হিসেবে কাজ করে।  জানতে পেরেছি, গত দশ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছে মতিউর রহমান।  ভাবতেই অবাক লাগে একজন সম্পাদক কিভাবে স্ত্রী-পুত্রের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলে।  আমি যতদূর জানি, মতিউর প্রথম আলোর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে।  কর ফাঁকি দেয়া এবং মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল