• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯  

এ বছরের পৌষের শুরুতেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত বুধবার দুপুর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে পড়ছে হাড়কাঁপানো শীত। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। বিভন্ন জেলায় কিছুক্ষণের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তেমন তেজ অনুভূত হয়নি। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

কুড়িগ্রাম: শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রামে ক্রমাগত কমছে তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় ভোগা‌ন্তি বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে শীতে কষ্ট পাচ্ছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা খুব একটা মিলছে না।

 

রাজারহাট আবাহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রামে ঠান্ডা ক্রমেই বাড়ছে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

পঞ্চগড়: কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হারকাপাঁনো শীত ও ঘন কুয়াশা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।

 

শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, হিমালয়ের একদম কাছেই পঞ্চগড় হওয়ায় এখানে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তবে এ মাসে আরো দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

 

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় দুইদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ।

 

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শুক্রবার তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

 

এদিকে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি।

 

নীলফামারী: নীলফামারীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো জেলা। প্রবাহিত হচ্ছে অনবরত ঠান্ডা বাতাস। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও মিলছে না সূর্যের দেখা।

 

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকায় রাতে ও সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আরো কয়েকদিন এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের শিশুর সংখ্যাই বেশি। কয়েকদিনে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু।

 

তীব্র শীতে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর চরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের অবস্থা চরম শোচনীয়। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

 

দিনাজপুর: দিনাজপুরে কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে জনপদ।

 

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর হিমেল বাতাস ঠান্ডার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। 

 

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হঠাৎ করে তীব্র শীত ও কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। গত দুইদিন ধরে আকাশ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই এক প্রকার জনশূন্য হয়ে পড়ছে হাট-বাজার।

 

ঝিনাইগাতী (শেরপুর): শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মঙ্গলবার থেকে ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ। শুক্রবার পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

 

প্রচণ্ড শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। ভিড় জমছে গরম কাপড়ের দোকানে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না।

 

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় ঢাকায় একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহের কোনো প্রভাব নেই। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল