• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সাংবাদিকতার অন্তরালে রোজিনা ইসলামের যত অপকর্ম!

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২১  

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগে দেশের বহুল প্রচারিত প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে বেরিয়ে আসছে রোজিনার ক্যারিয়ারের কালো দিক।

 

জানা যায়, ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকা দিয়ে রোজিনার ক্যারিয়ার শুরু। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক সাংবাদিক নেতার সঙ্গে। পরে তাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম আলোতে যোগ দেন রোজিনা ইসলাম।

 

বিএনপির সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাথে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সে সুবাদে অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এই সাংবাদিক। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের তদবির করতেন এবং অবৈধভাবে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন বলে জানা যায়।

 

এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্ৰী লুৎফুজ্জামান বাবরের সাথেও ছিল তার অনৈতিক সম্পর্ক। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে বদলি ও বাহিনীতে চাকুরী দেয়ার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করেছিলেন এবং পুলিশ দিয়ে অনেক মানুষ এমনকি কয়েকজন সাংবাদিককেও হেনস্থা করেছিলেন বলে জানা যায়।

 

রোজিনা ইসলাম সদ্য সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের সাথে সখ্যতা স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং বাণিজ্য শুরু করেন বলে জানিয়েছে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র।

 

রোজিনা তার সাংবাদিকতা পেশাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠুকে টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দিতে অবৈধভাবে সহযোগিতা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু ১৯৯১ সালে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা অভি গ্রুপের ক্যাডার ছিলেন। ৪০ কোটি টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় দেখিয়ে ইউএসএতে বিজনেস ভিসা নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনও করেছিলেন মনিরুল।

 

রোজিনা প্রথম আলোয় “মন্ত্রীর দুর্নীতির কারণেই আটকে গেলো পদ্মা সেতু” শিরোনামে একটি ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করার ফলে দেশে বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। অথচ পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ হয় পদ্মা সেতু প্রকল্পে মন্ত্রীর কোন দুর্নীতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। যান চলাচল শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

 

উল্লেখিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। পেশাগত কারণে অনিয়ম আর দুর্নীতির তথ্য তার হাতের নাগালেই থাকতো। তিনি সেগুলো নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতেন। যা এখন সর্বমহলে দৃশ্যমান।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল