• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সম্পদ ভাগ করলে, দারিদ্র্য ইতিহাসে চলে যেতো: গভর্নর

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০  

আমাদের দেশের জনগন সম্পদ ভাগাভাগি করে না, করলে দারিদ্র্য ইতিহাসে চলে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির।

 

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের একটি বক্তব্য উদ্ধৃতি করে গর্ভনর বলেন, মানুষ কিন্তু সম্পদ ভাগাভাগি করে না। সম্পদ যদি সবাই ভাগাভাগি করতাম, যেখানে প্রয়োজন সেখানে দিতাম; সেটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হোক, সামাজিকভাবে হোক, পারিবারিকভাবে হোক আর ব্যক্তিগতভাবে হোক; তাহলে কিন্তু আমাদের দারিদ্র্য ইতিহাসে চলে যেতো।            

 

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ভবনে প্রাইম ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে কবির এসব কথা বলেন।

 

রাশিয়ান একজন লেখকের উদ্ধৃতি দিয়ে গর্ভনর বলেন, আপনি একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দেবেন, সেই মোমবাতি দিয়ে আবার হাজারো মোমবাতি জ্বালাবে। আজকে সম্মাননা পাওয়া চারজন ছাড়াও আমি দেখছি, এমবিবিএস চিকিৎসক ২৮৭ জন, প্রকৌশলী ২২৮ জন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক ৭৫ জন, বিসিএস ও সরকারি কর্মকর্তা ৫২ জন, ব্যাংকার ১৪২ জন রয়েছেন। বিশেষ করে যারা চিকিৎসা ও শিক্ষকতা করছেন তারাই এ মোমবাতি জ্বালিয়ে দেবেন। আর এজন্য আপনাদের সহায়তা করছে প্রাইম ব্যাংক।    

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচিতে চলতি বছর দেশের ২৬৩ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রতিমাসে দুই হাজার ৬০০ টাকা করে দেয়া হবে। ২০০৭ সাল থেকে প্রাইম ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে এ বৃত্তি দিয়ে আসছে।    

 

প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়াতে স্বচ্ছভাবে বৃত্তিপ্রাপ্তদের নির্বাচন করা হয়। দেশে অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী থাকলেও সবার জন্য এ বৃত্তি দিতে পারছি না। আনন্দের বিষয় হচ্ছে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত নাগরিক। তবে আশা করি- ব্যাংকগুলো আরো এগিয়ে এলে মেধাবীরা আরো উঠে আসবেন। এগিয়ে যেতে পারবেন।                            

 

সভাপতির বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, সারাদেশে যারা গরিব ও মেধাবী তাদের এ বৃত্তির আওতায় আমরা নিয়ে আসি। বিষয়টি স্বচ্ছতার জন্য আমরা ম্যানেজমেন্টের বাইরে রেখেছি। আমরা যাদের বৃত্তি দিচ্ছি তাদের সাফল্যের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। কয়েক বছর ধরে ব্যাংকগুলো অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তারপরও আমরা মুনাফার চার শতাংশ সিএসআর খাতে ব্যয় করছি।

 

অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের বৃত্তি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত তাসমিয়া ইসলাম, ইমাম উদ্দিন, তমালিকা কর্মকার, মো.  আজাদ হোসেনকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান অতিথিরা। 

 

এছাড়াও অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, গর্ভনর ফজলে কবির ও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।       

 

অনুষ্ঠানে রিয়েল টাইম সুইচ চেপে বৃত্তিপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে প্রথম কিস্তির টাকা স্থানান্তর করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে গর্ভনরের পরামর্শ বৃত্তির পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 

 

বৃত্তি প্রদানের সার্বিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেন প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. ইকবাল আনোয়ার।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল