• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

সংকটেও চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

করোনার কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ধাক্কা লেগেছে। এর পরও চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে। তবে অর্থবছরের শেষ তিন মাসে আমদানি-রপ্তানি কমার কারণে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাড়েনি। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এ হার ছিল তিন দশমিক ৮ শতাংশ। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় এক শতাংশ কমেছে। প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও করোনা সংকটের মধ্যেই হ্যান্ডলিং বাড়ায় সন্তুষ্ট বন্দর প্রশাসন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দর, কমলাপুর ডিপো ও পানগাঁও টার্মিনাল মিলে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ৩০ লাখ চার হাজার ১৪২ টিইইউস (টুয়েন্টি ফুট ইক্যুয়েভেলেন্ট ইউনিট)। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ছিল ২৯ লাখ ১৯ হাজার ২৩টি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৩ লাখ ২৪ হাজার ৬১৭ টন বেশি। ২০১৮-২০২৯ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে এক হাজার ৬৫টি জাহাজ বেশি এসেছে

চট্টগ্রাম বন্দরে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৬৯৯ জাহাজের বিপরীতে বিদায়ী অর্থবছরে এসেছে ৩ হাজার ৭৬৪টি জাহাজ।

করোনা সংকটের মধ্যেও জাহাজ ও হ্যান্ডলিং বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, করোনা সংকটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর এক ঘণ্টার জন্যও বন্ধ হয়নি। বৈশ্বিক এ মহামারীর কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশের আমদানি-রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে বন্দরে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাটাই বড় সাফল্য।


দেশে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন হয় চট্টগগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ কনটেইনার আনা-নেওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। রপ্তানি পণ্যের প্রায় পুরোটাই কনটেইনারে পরিবহন হয়। আবার আমদানি পণ্যের মধ্যে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য, শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য, ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি রয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমীন  বলেন, গত অর্থবছরের ১০ মাসে হ্যান্ডলিং বেড়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে মে ও জুন মাসে কমে যায়। ফলে সামগ্রিকভাবে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়েনি। স্ট্রং মনিটরিং এবং পারফরম্যান্সের কারণে বন্দর এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, টার্মিনাল অপারেটরদের পরিশ্রমের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্দরের জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক থাকলে এপ্রিলে অর্ধেকে নেমে আসে। মার্চে ৩৬৬টি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল। ১০৯টি কমে এপ্রিলে এসেছে ২৫৭টি। মার্চে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। এক লাখ ১৬ হাজার ৭৪৮ টিইইউস কমে এপ্রিলে হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৯২১ টিইইউস।

এপ্রিলে কার্গো জাহাজে ৩২ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৭ টন পণ্য আমদানি কমেছে মার্চের তুলনায়। মার্চে এক কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ টনের বিপরীতে এপ্রিলে এসেছে ৭০ লাখ ২৪ হাজার ২৫ টন।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল