• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

শ্রীবরদীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, শ্বাশুরি আটক

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০  

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আরজিনা (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুড়িকাহনীয়া মিঞাপাড়া গ্রামের ওই গৃহবধূর স্বামীর ঘর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে। 

 

রবিবার ওই মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ওই গৃহবধূর শ্বাশুরি বেলি বেগমকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মৃত আরজিনার স্বামী বাধন মিয়াকে প্রধান আসামী করে শ্বাশুরি বেলি বেগমসহ ৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। 

 

ওই গৃহবধূ মৃত আরজিনার বাবা গাজীউর রহমান একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, ৫/৬ বছর আগে তার প্রতিবেশী মৃত মজিবর রহমান ওরফে মজির ছেলে বাধন মিয়ার সাথে তার মেয়ে আরজিনার মন দেয়ানেয়া হয়। এক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। 

 

বিয়ের পর তাদের দাম্পত্যে তিন বছর বয়সের এক মেয়ে ও দেড় মাস বয়সের এক ছেলে সন্তানের মা হয় আরজিনা। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্যে যৌতুক দাবিসহ তুচ্ছ ঘটনায় বাধন মাঝে মধ্যে তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করতো। 

 

এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য শালিস হয়েছে। গত শনিবার রাতে বাধন মিয়া তার মেয়েকে নির্যাতন করে। এ সংবাদ পেয়ে তারা রাতে তার মেয়েকে দেখতে যায়। এ সময় তারা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। 

 

এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে। রবিবার ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার শ্বাশুরি বেলি বেগমকে আটক করেছে। ঘটনাটি নিয়ে মৃত আরজিনার বাবা গাজীউর রহমান বাদী বাধন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ও তার শ্বাশুরিসহ ৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

 

অপরদিকে বাধন মিয়ার পরিবারের দাবি, তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আরজিনা সবার অজান্তে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ঘটনাটির পর আরজিনার স্বামী ও দেবরসহ বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনার তদন্তকারী অফিসার এসআই রুপন মিয়া জানান, মরদেহে আঘাতের টিহ্ন ছিল। তবে ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত।   

 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুল আমিন তালুকদার জানান, ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আটক শ্বাশুরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। 

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল