• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

‘শান্তির অগ্রসেনা’র সমাপনী ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসে আয়োজিত বহুজাতিক সামরিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’-এর সমাপনী ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুশীলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনকে সমুন্নত করে এই বহুজাতিক অনুশীলনটি আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ছিল এই অনুশীলনের মূল উদ্দেশ্য। এই অনুশীলনে সামরিক অপারেশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের আলোচনা ও বিভিন্ন প্রকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদি ও মিলিটারি গেজেটসমূহ সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সকলের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী সদস্যদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, বহুজাতিক এই সামরিক অনুশীলনে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হতে ৩০ জন করে এবং ভুটান হতে ৩৩ জনসহ মোট ১২৩ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেপাল, তুরস্ক, সৌদি আরব, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মোট ১২ জন পর্যবেক্ষক।
প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী লাখ শহীদের এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, ‘চলমান বিশ্বে প্রযুক্তির প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় শক্তিসমূহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন মাত্রার চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।’

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রস্তুত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যৎ শান্তিরক্ষীদের জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সমূহে বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস্তবমুখী এই অনুশীলন বিশেষ সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) প্রতিষ্ঠানটি দেশ-বিদেশের অসংখ্য শান্তিরক্ষীদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি জানান। প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ঐকান্তিকভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’কে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলায় সকল বন্ধু প্রতিম দেশের অংশগ্রহণকারীদের তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সফলভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দেশি এবং বিদেশি সকল বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা’এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান; ডেপুটি চিফ অপারেশন – ভুটান সেনাবাহিনী, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি এবং দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ফোর্স কমান্ডারগণ, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণসহ দেশি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল