শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়: সেতুমন্ত্রী

যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যে কোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে। যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সাথে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে। 

তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র। বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে অপরদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে।

বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করারও আহবান জানান। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই, তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জণকল্যানের রাজনীতি করুন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে।

এসময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সকল মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সকল শাখাকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে সমাবেশ, জনসংযোগের কর্মসূচি পালন করার নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ স্ব-স্ব বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করতে বলেন।