• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মির্জাপুরে সরকারি রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর চিতেশ্বরী এলাকায় সরকারি স্কুলের রাস্তা থেকে দখলদারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মির্জাপুরে স্কুলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও অবৈধ স্থাপনা নির্মান শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
 
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে রাস্তা দখলের সত্যতা পান। পরে মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক মো. মোরাদ জাহানসহ একদল পুলিশের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাস্তার উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দিয়েছেন।

রাস্তার উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় ভুক্তভোগিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আঞ্চলিক রোড গোড়াই-সখীপুর –ঢাকা রোড সংলগ্ন ১২১ নং সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর মৌজায় ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে বিদ্যালয়ের নামে। বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত সরকারি কর পরিশোধ করা হয়।
 
সৈয়দপুর গ্রামের গ্রামের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে মো. আজম খানসহ (৫৫) কতিপয় ব্যক্তি প্রভাব বিস্তার করে স্কুলের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মান করেছে। সেই সঙ্গে পাশের রাতের আধাঁরে রাস্তা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসি বারবার নিষেধ করার সত্তেও চক্রটি পাকা ভবন নির্মান থেকে বিরত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের জমি রক্ষা ও রাস্তা উদ্ধারের জন্য এলাকাবাসির পক্ষে ইউপি সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আদিল খান বাদী হয়ে ইতিপুর্বে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন।

কেউ প্রতিবাদ করলেই চক্রটি তাদের নামে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে মো. আজম খান এবং মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সৈয়দপুর মৌজায় মো. মজিদ খান, মোকছেদ আলী, কেশব সরকার ও গয়ানাথ সরকার বেশ কিছু জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করে দিয়ে সৈয়দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিদ্যালয়ের পাশে তাদের জমি রয়েছে।
 
তারা দাবী করেন, আমরা বিদ্যালয়ের কোন জমি জবর দখল করিনি। আজম খান বলেন আমার নিজের রাস্তা ভাড়া দিয়েছিলাম এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আমি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়দেব সরকার বলেন, এটা বিদ্যালয়ের জমি। এলাকার কিছু লোকজন বিভিন্ন ভাবে দলিল তৈরী করে বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছেন। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার ও রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরসহযোগিতা চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, স্কুলের জমি ও সরকারি রাস্তা দখল করে কিছু ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে জনগনের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তা দখল মুক্ত করে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি কেউ রাস্তা দখল বা সরকারি জমি দখলের চেষ্টা করে তাদরে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে রাস্তার উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল