• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মধুপুরের বনাঞ্চলের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০  

টাঙ্গাইলে শালবন সমৃদ্ধির জন্য পশু-পাখির খাদ্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মধুপুর গড়াঞ্চলের দোখলা রেঞ্জে ৮০ হেক্টর বনভূমিতে দেশি ৫৩ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করছে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন বিভাগ।

 

বন বিভাগের সুফল প্রজেক্টের আওতায় শালবনে সম্প্রতি পশু-পাখির নিরাপদ খাদ্য, লাল মাটির শালবনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দেশি প্রজাতির গাছের সমাহার ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য টেকসই এ মিশ্র বাগান করা হচ্ছে।

 

এসব বৃক্ষ বেড়ে উঠলে শালবনের মানানসই পরিবেশ সম্মত বৃক্ষের ফুল-ফলে ভরে উঠবে এ বন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা এতেই বনাঞ্চল ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য।

 

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুফল প্রজেক্টের আওতায় দোখলা রেঞ্জের ৮০ হেক্টর বনভূমিতে দেশি ৫৩ প্রজাতির মোট এক লাখ ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।যার প্রতি হেক্টরে রোপণ করা হচ্ছে এক হাজার ৫শটি চারা।

 

টেকসই বন ব্যবস্থাপনার আওতায় আর গোবর ও মিশ্র সার দিয়ে গর্জন, জাম, চাপালিশ, ঢেওয়া, লটকন, গাব, জামরুল, জলপাই, আমড়া, বেল, তেঁতুল, আমলকী, হরিতকী, বহেরা, অর্জুন, বকুল, মহুয়া, নাগেশ্বর, নিম, কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, পেয়ারা, কানাইডিঙ্গা, জয়না, নেউর, চিকরাশি, আজুলী এবং ভেষজ গাছের মধ্যে তালমূল, তেজপাতা, সোনাপাতা, নাগদানা, জায়ফল, রক্ত চন্দনসহ দেশি ৫৩ প্রজাতির গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম চালাচ্ছে দোখলা রেঞ্জ।

 

দোখলা রেঞ্জ অফিসার আব্দুল আহাদ জানান, সুফল প্রজেক্টের আওতায় স্টেন্ড ইমপ্রুভমেন্ট শাল বন অ্যাসোসিয়েট অর্থাৎ শালবনের বিদ্যমান অবস্থা ঠিক রেখে লাল মাটির এ বনের পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

এ কারণে পরিবেশের সাথে মিল রেখে দেশি ৫৩ প্রজাতির ফুল, ফল, ভেষজ ও পরিবেশ সম্মত টেকসই বাগান তৈরি করা হচ্ছে।

 

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল হক জানান, সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিবোর্ট (সুফল) প্রজেক্টের আওতায় দেশি জাতের চারা রোপণ করে বনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

২০০৩ সালে হাতে নেয়া এর পাইলট প্রজেক্ট সফল হওয়ায় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বনে সুফল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। টেকসই বাগান তৈরি হলে শালবনের পরিবেশ-প্রকৃতি, জীব বৈচিত্র্যের আদি সক্ষমতা ও ঐতিহ্য ফিরে আসবে এমন প্রত্যাশাই করছেন তিনি।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল