• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মধুপুরে বন বিভাগের আরো ৩ একর জায়গা দখল মুক্ত

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২০  

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জের গাছাবাড়ী বিটের আরো ৩ একর জায়গা জবরদখল মক্ত করা হয়েছে। গত (৮ মার্চ) থেকে (১৪ মার্চ) পর্যন্ত মোট ২৩ একর একর জায়গা জবরদখল মুক্ত করেছে বন বিভাগ। দখলমুক্ত এসব জায়গায় মধুপুর গড় এলাকার লাল মাটির বিক্রির সাথে মিল রেখে সুফল প্রজেক্টের মাধ্যমে হরেক প্রজাতির দেশি গাছের ও পশুপাখির খাদ্যের মিশ্র বাগান করা হবে। করা হবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। উদ্ধারকৃত জায়গায় কোন সামাজিক বনায়নের অংশীদার দেওয়া হবে না।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের গাছাবাড়ী বিটের চওড়া বাইদ, শুকনপঁচা, চিতাখোলা ও গাছাবাড়ী এলাকায় বন বিভাগের জায়গা স্থানীয় জবরদখলকারীরা জবরদখল করে আনারস, কলা, আদা, হলুদসহ নানা কৃষি ফসল চাষ করে আসছিল। বন বিভাগ ২৩ একর জায়গায় আনারস, কলা বাগান কেটে জবর দখল মুক্ত করেছে। মধুপুর শালবনের ঐতিহ্য ফিরাতে ও সুফল প্রজেক্টের আওতায় দেশী প্রজাতির বাগান ও পশু খাদ্যে পরিবেশ সম্মত মিশ্র বাগান এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার জন্য উদ্ধার করা হয়েছে। দখলমুক্ত কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার, বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সিএমসি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এসব তথ্য বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে গাছাবাড়ী বিট অফিসার মফিজ উদ্দিন  জানান, গাছাবাড়ী বিটের পূর্ব দিকে শালবনের ভিতরে চওড়া বাইদ, চিতাখোলা, গাছাবাড়ী ও শুকনপঁচা এলাকায় স্থানীয় ভূমি খেকোরা ৫/৭ বছর যাবত জবর দখল করে আনারস, কলা চাষ করে আসছে। জবর দখল মুক্ত করতে ২৩ একর জায়গা উদ্ধার করেছি। আনারসের চারা উদ্ধার করে বিট অফিসে আনা হয়েছে। এসব জায়গায় শালবনের সাথে মিল রেখে পরিবেশ সম্মত বনায়ন করা হবে। মধুপুর কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির পিপলস্ ফোরামের সভাপতি রানা শর্মা  বলেন, ২৩ একর জায়গা জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এসব জায়গায় প্রাকৃতিক বনের ঐতিহ্য ফিরাতে বাগান করা হবে। তার দাবী এসব জায়গায় যেন সামাজিক বনায়নের প্লট না দেয়া হয়।

মধুপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল জলিল জানান, ২৩ একর জায়গা জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এসব জায়গায় সুফল প্রজেক্টের আওতায় শালবনের সাথে মিল রেখে দেশী প্রজাতির কাইকা, জয়না, আজুলি, বহেরা, নিম, কাঞ্চনসহ হরেক প্রজাতির গাছ রোপণ করা হবে। এতে পশু খাদ্যের সংস্থান হবে। হবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। কোন সামাজিক বনায়নের প্লট দেয়া হবে না।

টাঙ্গাইল (উত্তর) সহকারী বন সংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদার জানান, উদ্ধারকৃত এসব জায়গার মধ্যে চওড়া বাইদের নিচু এলাকায় জারুল, হিজল, রেইন ট্রিসহ দেশী প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হবে। অন্য জায়গায় সুফল প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিবেশ সম্মত টেকসই বাগান ও পশু খাদ্যের জন্য বনায়ন করা হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল