• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

মধুপুর গড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে কফি চাষ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০  

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে কফি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাহাড়ি ফলোদ্যানে বাণিজ্যিকভাবে স্থান পাচ্ছে কফি। স্বাদেগন্ধে এটি যেমন অতুলনীয়। তেমনি ফলনও আশাতীত।

মধুপুরে অভিজাত পানীয় কফির আবাদ সাম্প্রতিক। প্রথম শুরু করেন মধুপুর উপজেলার গুবুদিয়া গ্রামের এনজিও কর্মী মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। মিশ্র ফল বাগানে এখনো শ দেড়েক ফলবান কফি গাছ রয়েছে। প্রতি বছর এখান থেকে লক্ষাধিক টাকার কফি বিক্রি করেন তিনি।

কফি হাউজ মালিকরা কফির বীচি কিনে নিয়ে যান। নিজেরা গুঁড়া করে বানিয়ে নেন স্বাদের কফি। কফির বাগানে লাগিয়েছেন বাসক ও তুলসী। করোনাকালে এ দুটি ভেষজ পানীয় সমানতালে বাজার দখল করেছে।

কিন্তু কফি চাষে সাড়া ফেলেছেন মহিষমারা গ্রামের সানোয়ার হোসেন। শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি বাপ-দাদার কৃষিপেশায় মনোনিবেশ করেছেন। বাড়ির পাশে প্রায় পাঁচ একরের ফলোদ্যান। তাতে রয়েছে মাল্টা, ড্রাগন, আনারস, পেঁপে। সাথী ফসল হিসেবে কফি।বাগানের সাড়ে ৩০০ গাছ জুড়ে কফির সমারোহ। পেকে খয়েরী রং ধারণ করেছে।

সানোয়ার হোসেন জানান, ফল ও ফসল বৈচিত্র্যের মাধ্যমে বড় অংকের আয় করা সম্ভব। বিষ ছাড়া আনারস ও পেঁপের বিপুল গ্রাহক। লক্ষাধিক টাকার পেঁপে, সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাল্টা, ২ লাখ টাকার ড্রাগন, লক্ষাধিক টাকার আনারস বিক্রি করেছেন। কফি বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন। কফি প্রসেসিং মেশিন কিনেছেন। ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে নিজস্ব ব্র্যান্ডের কফি বাজারজাত করে তিনি দেখাতে চান বাংলার কফির স্বাদ ও গন্ধ ব্রাজিল বা ভিয়েতনাম থেকে কম নয়।
 
তিনি অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা জাতের কফি আবাদ করছেন। বাজারজাতকরণে কোনো সমস্যা নেই। গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকানেও এখন কফির আড্ডা বসে। কৃষিতে ফল ও ফসল বৈচিত্র্যের সমাহার না ঘটানো গেলে নতুন কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

এ লক্ষ্যে তিনি ফলোদ্যানে লাগিয়েছেন কয়েক শ আমলকি, হরিতকি ও বহেড়া। সেসবে ফল ধরেছে। বছরে কোটি টাকা আয় করাই শুধু নয়, খামারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিই তার লক্ষ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার জানান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের উত্সাহে মধুপুর গড়ে কফি ও কাজু বাদাম চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করা হচ্ছে। বছরব্যাপী উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক বিঘা করে কফির ২০টি প্রদর্শনী প্লট করা হচ্ছে। সানোয়ার হোসেনের বহুমুখী ফলোদ্যান দেশে একটি আদর্শ খামার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাকে সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কফি, মাল্টা, ড্রাগন, বাসক ও তুলসী চাষের খুবই উপযোগী।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল