• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ভূয়াপুরে যমুনায় ভাঙন, মসজিদ রক্ষায় এগিয়ে এলেন যুবকরা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি কমলেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর শতশত ঘরবাড়ি ও বসতভিটাসহ অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে ভাঙন কবলিত পরিবারবা প্রতিনিয়ত আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
 
সম্প্রতি গেল মাসখানেক আগে কয়েক দফায় যমুনা নদী পানি বৃদ্ধিতে ভয়াবহ বন্যায় গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ী, গোবিন্দাসী ও ভালকুটিয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে চলে গেছে শতশত ঘরবাড়ি ও বসতভিটা।

এলাকাবাসীরা জানায়, ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নদী ভাঙন পরিদর্শনে ভাঙনরোধের আশ্বাস দিলেও তেমন কার্যকর প্রদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে প্রতিদিনই নদীতে চলে যাচ্ছে বসতভিটা ও ঘরবাড়ি।

এদিকে, যমুনা নদীন ভাঙনের হুঁমকির মুখে পড়েছে ভালকুটিয়ার নদী তীরবর্তী একটি মসজিদসহ আরও বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা না পেয়ে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘ভালকুটিয়া যুব সমাজ’ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মসজিদ ও পাশে থাকা ঘর-বাড়ি রক্ষায় ও ভাঙনরোধে প্ল্যাস্টিকের বস্তায় মাটি ভর্তি করে ফেলেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় যুব সমাজের আমিনুল ইসলাম, মো. রাফিকুল ভূইয়া, সায়েম প্রামাণিক ও শরিফ প্রামাণিক জানান, প্রতিবছর বন্যায় নদী তীরবর্তী আমাদের ভালকুটিয়া এলাকাসহ আশ পাশের বিভিন্ন এলাকা ভেঙে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। শুধু বন্যাতেই নয়, ভাঙন সারা বছর অব্যাহত থাকে। ফলে ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা।

তারা আরও জানান, এ বছর বন্যায় ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে ভালকুটিয়া মসজিদ। জনপ্রতিনিধিদের ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না দেখে আমরা এলাকার তরুণ, যুবক ও বয়োজ্যেষ্ঠরা মিলে মসজিদ রক্ষায় মার্টির বস্তা দিচ্ছি। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটাই দাবি অতিদ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ ও স্থায়ীবেড়িবাঁধ করে দেওযার অনুরোধ জানান যুব সমাজ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল