• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

ভাড়াটে খুনি দিয়ে ক্লিনিক ব্যবসায়ীকে হত্যা করান স্ত্রী : পুলিশ

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২১  

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় ক্লিনিক ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করান তার স্ত্রী। হত্যায় অংশ নেওয়া দুইজন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আনিসুর রহমানের স্ত্রী মুরছেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। মুরছেনা বেগমকে রোববার (৬ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি।

বিকেলে টাঙ্গাইল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন রিমান্ডের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার (৫ জুন) রাতে মুরছেনাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছর ১৭ নভেম্বর দেলদুয়ার উপজেলার হেরেম্বপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের (৫০) বস্তাবন্দি লাশ স্থানীয় খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি লাউহাটি বাজারের জনসেবা ক্লিনিকের মালিক ছিলেন। ঘটনার পরদিন তার মেয়ে মারুফা আক্তার বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে দেলদুয়ার থানা পুলিশ মামলার তদন্ত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি পুলিশকে।

টাঙ্গাইল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন জানান, মামলার দাায়িত্ব পাওয়ার পর তদন্তের মাধ্যমে হত্যায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানা যায়। গত বুধবার (৩ জুন) বিকেলে গাজীপুরের টুঙ্গী বাজার এলাকা থেকে রিপন খানকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লাউহাটি গ্রামের হেলাল খানের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রাম থেকে আব্দুস সেলিম খানকে (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজনেই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আনিসুরকে হত্যা করার জন্য তার স্ত্রী মুরছেনা বেগম তাদের ভাড়া করেছিলেন বলে সিআইডি পুলিশকে জানান। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিতেও রাজি হন।

পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুন) এই দুই আসামিকে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান সেলিম খান এবং ফারজানা হাসানাত রিপন খান তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল