• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল

‘বিগডাটা’ বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ পেলো ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২০  

 “বিগডাটা” বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অনলাইনে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। 

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া)’ প্রকল্পের ‘অ্যাডুকেশন ফর ন্যাশন’ কর্মসূচির আওতার অধীনে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

শুরুতেই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অনলাইন অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।

 

উদ্বোধনকালে পলক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল ও বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ। যেখানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত ডেটা জেনারেট করছে। এ মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে ডেটা বা তথ্যকে ধরা হচ্ছে। যে দেশ বা জাতির কাছে যতো বেশি তথ্য থাকবে ও সেটা উপযুক্তভাবে প্রসেস ও অ্যানালাইসিস করতে পারবে সে দেশ বা জাতি ততো বেশি সম্পদশালী হিসেবে বলা হচ্ছে। দেশে এখন প্রায় ১০ কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারি আছে এবং ১৬ কোটিরও বেশি সিম কার্ড ব্যবহার হচ্ছে। প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারিসহ লাখ লাখ কম্পিউটার ব্যবহারকারি রয়েছে। বিশেষ করে এ করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত মার্চ ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ গত তিন মাসে ঘরে বসে প্রায় সাড়ে চার কোটি ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা এবং ১৭ কোটি মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

 

তিনি আরও বলেন, ডেটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে কোনো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বা কম অথবা উপসর্গের সংখ্যা বেশি এবং পরবর্তীতে কোনো এলাকায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে সেই বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য অনুমান করা সম্ভব। অর্থাৎ তথ্য বিশ্লেষণের একটি শক্তিশালী একটা ক্ষমতা আছে। এখন প্রচলিত পদসমূহ যেমন সিইও, সিএফও বা সিটিও এর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে চিফ ডেটা অফিসারের প্রয়োজনীয়তা হবে। এর কারণ হল সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডেটা অ্যানালাইসিসকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের গবেষক, উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা যেন দেশের ডেটা ব্যবহার করে তারা যেন নতুন নতুন সেবা দিতে পারে সেটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া তিনি ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ডেটা নির্ভর পলিসি টেকসই ও কার্যকর বেশি হয়। তাই আমরা যখনই ‘এভিডেন্স বেইজড পলিসি; তৈরির কথা বলবো তখনই ডাটা রিসোর্স বা তথ্য বাড়াতে হবে। ডাটা ব্যবস্থাপনায় আমরা যতো বেশি উন্নত হবো আমাদের পলিসিগুলোও ততো বেশি উন্নত হবে। এর চর্চা আমরা শুরু করেছি যা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশে আরও কাজ বাড়াতে পারলে ডাটা সম্পদে আমরা অধিক সমৃদ্ধশালী হতে পারবো।

 

আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামনের যুগ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির যুগ। তাই ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সম্পর্কে তরুণদের উৎসাহিত করতে এ ধরনের আয়োজন করছে আইডিয়া প্রকল্প। আগামীতেও বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। 

 

আজকের প্রশিক্ষণ মেকিং সেন্স অব বিগডাটা, বিগডাটা অ্যান্ড স্মার্ট অ্যানালিটিক্স এবং হাউ ক্যান উই হার্নেস অপরচুনিটি ইন বিগডাটা; এ তিনটি বিষয় বস্তুকে প্রাধান্য দিয়ে প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করা হয়। প্রশিক্ষণটিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে সংযুক্ত হন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডে ডেটা সাইন্স বিষয়ের ছাত্র ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডেপুটি কমিশনার (ট্যাক্স) মো. আব্দুল বারী তুষার, গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আইসিটির বিগ ডাটা অ্যানালিটিস বিষয়ক লেকচারার ড. সাইফুল ইসলাম এবং টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ্ এন করিম। চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় ৬০ জনের অধিক প্রশিক্ষণার্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তাদের পরবর্তীতে সনদপত্র দেওয়া হবে। এছাড়া পুরো আয়োজনটি ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হয় ফলে আগ্রহী অনেকেই ‘বিগডাটা’ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা পায়।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল