• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের টাঙ্গাইল
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

বিএসএমএমইউ’তে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ চিকিৎসা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্তদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শনিবার থেকে চালু হচ্ছে ৩৭০ শয্যার ‘করোনা সেন্টার’।

 

হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ২৫০টি এবং বেতার ভবনে ১২০টি শয্যা রাখা হয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য। কেবিন ব্লকে চিকিৎসা নিতে হলে শুধু কেবিনের ভাড়া দিতে হবে। আর বেতার ভবনে যারা ভর্তি হবেন তাদের কোনো টাকা লাগবে না।

 

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবিন ব্লকের ২৫০ শয্যার মধ্যে জরুরি বিভাগে ২৪টি শয্যা রাখা হয়েছে। আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শয্যা আছে ১৫টি।

 

কেবিন ব্লকের প্রতিটি শয্যায় রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা। গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরই এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

 

‘করোনা সেন্টারের’ জন্য কেবিন ব্লকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরের কাজ শেষের দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ।

 

বেতার ভবনের ১২০টি শয্যা রাখা হয়েছে তুলনামূলক কম জটিল রোগীদের জন্য।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, প্রতিটি কেবিনেই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ উন্নত যন্ত্রপাতির সাহায্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। বেতার ভবনে ‘ফিভার ক্লিনিকে’ সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকলেও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মাধ্যমে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া যাবে।

 

কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের ভর্তির বিষয়ে একটা নিয়ম ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাদের শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম থাকবে তাদের কেবিন ব্লকে ভর্তি করা হবে।

 

“আর যাদের কন্ডিশন মাইল্ড তাদের আমাদের চিকিৎসকরা দেখে ঠিক করবেন ভর্তি করবেন কি না।”

 

ডা. জুলফিকার আমিন জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭৮ জনের একটি দল এক সপ্তাহ করে চিকিৎসা দেবেন। এতে ৬০ জন চিকিৎসক ও ১৮ জন অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক, ৬৩ জন নার্স এবং প্যারামেডিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন আরও ১০০ জন।

 

“বলতে পারেন প্রতি সপ্তাহে প্রায় আড়াই থেকে তিনশ জন করোনা সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দেবেন। আমরা তিনটা দল করছি, একটা দল রিজার্ভ থাকবে।”

 

তিনি জানান, ভিআইপি কেবিনের জন্য ৪ হাজার ২৫ টাকা এবং সাধারণ কেবিনের জন্য ১ হাজার ২৫ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

 

“আর ফিভার ক্লিনিকে ভর্তি হলে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।”

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল