বাংলাদেশ ও মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রতিবেশি দেশ ভারতের মিজোরামের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। সড়ক ও নৌপথে এ ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। 

রোববার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মিজোরামের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানা সাক্ষাৎ করেন। 

সাক্ষাতের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে টিপু মুনশি বলেন, মিজোরামে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মিজোরাম সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মিজোরাম সরকার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি আরো বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলোতে বড় ধরনের বাণিজ্য না হলেও উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরো কয়েকটি বর্ডারহাট উদ্বোধন করা হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক টয়লেট্রিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একইভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, চিনি এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয় দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে মিজোরামের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে মিজোরাম আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

এ সময় মিজোরামের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সফররত মন্ত্রীর স্ত্রীসহ তিনজন প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রমুখ।