বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুর শক্তি ও অনুপ্রেরণা
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমআসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলার মানুষের কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার নাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় তো বটেই বঙ্গবন্ধুর পুরো রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তিনি। সে কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে এর স্বাদও এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় রেণু। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গাঁথা, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম।
যখনই আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলি তখনই বঙ্গমাতার নাম প্রচ্ছন্নভাবে চলে আসে। পারিবারিক সূত্রে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন জনগণের সেবায়, দেশের কল্যাণে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সময় বঙ্গবন্ধুকে কাটাতে হয়েছে জেলে। আর সেই সময়গুলোতে কাণ্ডারির মতো হাল ধরেছিলেন বেগম মুজিব।
১৯৬৬ সনের ছয় দফা আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন আদায় ও জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে লিফলেট হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন বঙ্গমাতা। এসময় তিনি নিজের অলংকার বিক্রি করে সংগঠনের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিল তার সঠিক দিক নির্দেশনা। আন্দোলনের উত্তাল সময়গুলোতে নিজ বাড়িতে পরম মমতায় নির্যাতিত নেতা-কর্মীর আত্নীয় স্বজনদের আপ্যায়ন করতেন, সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে ব্যবস্থা নিতেন। আশাহত নেতাকর্মীরা খুঁজে পেতেন আশার-আলো, আন্দোলনের জ্বালানি আসতো বেগম মুজিবের আশাজাগানিয়া বক্তব্য থেকে। শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
স্বাধীনতার পর বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গমাতা বলেন, ‘আমি তোমাদের মা।’ অনেক বীরাঙ্গনাকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন জীবনদান করেন তিনি।
বাঙালির অধিকার আদায় ছাড়া শেখ মুজিবের কাছে প্রধানমন্ত্রীত্ব বা ক্ষমতার কোনো আকর্ষণ ছিলো না। বঙ্গমাতাও সেই আদর্শে নিজেকে ও নিজের সন্তানদের গড়ে তোলেন। সহধর্মিণী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক শেখ মুজিবের অনুপ্রেরণাদায়িনী হয়ে পাশে ছিলেন। নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে জীবন দিতে হয়ে বঙ্গমাতাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে।
বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলার জনগণ তাকে ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা যেমন আলোকবর্তিতা, তেমনি আমাদের স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের জন্য তার অবদান অনন্য অবিস্মরনীয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে, বঙ্গমাতার অবদান তত বেশি উদ্ভাসিত হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নাম চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহিয়সী এ নারীর জন্মদিনে তার প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
- আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না
- চুক্তি-ভিত্তিক চাকরির সুযোগ দিচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন কি না যেভাবে বুঝবেন !
- গরমে গোড়ালি ফাটলে যা করবেন!
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- এবার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ নিপুণের বিরুদ্ধে
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- শিশুদের খাবার সেরেলাক ও নিডো নিয়ে মিললো ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের লোভে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- আবারও দেশের বাজারে সোনার দামে রেকর্ড
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ
- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান বাংলাদেশ-নেপালের
- ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- খালেদা জিয়া মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে
- এক রাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন কাম্য নয় : সেনাপ্রধান
- কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেনি, এটাই দুর্ভাগ্য
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
- দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে
- শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে
- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫৩ জন রিমান্ডে
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থ পেতে বিসিডিপি গঠন করবে সরকার
- ড্রোন হামলায় এবার ইসরাইলি ১৪ সেনা আহত
- মেয়ের ক্যারিয়ার গড়তে কত টাকা খরচ করলেন বাবা?
- চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি- ধর্মমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বকশীগঞ্জে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ইরানের ঢাল হিসাবে আড়ালে রয়েছে যে দুই পরাশক্তি দেশ!
- মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মাহত্যা
- মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- কোরআনের যে দোয়ায় ভালো হয় মাথা ব্যথা!
- ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে শত বছরের সারমারা অষ্টমী মেলায় মানুষের ঢল
- কুড়িগ্রামে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে খালাতো ভাই বোনের মৃত্যু
- পারমানবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান!
- মেলান্দহে মুজিবনগর দিবস উদযাপন
- পঞ্চগড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তপসিল আজ
- ঘর থেকে পোকামাকড় দূর করার সহজ কিছু উপায়