বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমান উচ্চতার নেতা বিশ্বে বিরল
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৫৯ সালে। এর কয়েক বছর আগে বার-অ্যাট-ল শেষ করে আমি বিলাত থেকে দেশে ফিরেছিলাম। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সাহেবের বাসায় তিনি যেতেন। সেখানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবও যেতেন। বিমানবন্দরে সোহরাওয়ার্দী সাহেব এলে সেখানেও মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হতো। একসঙ্গে ওখান থেকে আবার মানিক মিয়া সাহেবের বাসায় যেতাম। এভাবেই আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ শুরু হলো। সেখানে মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কথা হতো। ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে তাঁর ইমেজ তৈরি হয়ে গেছে। একদিন মুজিব ভাইকে বললাম, ‘আপনার কথা দেশে-বিদেশে অনেক শুনেছি। আপনি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন সাহসের সঙ্গে করছেন।’ এভাবে যেতে যেতে একসময় সম্পর্ক তৈরি হলো। আমি ছিলাম সোহরাওয়ার্দী সাহেবের ভক্ত আর বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মী ছিলেন। এভাবেই ভক্ত আর কর্মীর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হলো।
বঙ্গবন্ধুর অন্যতম গুণ ছিল তাঁর অদম্য সাহস। বাঙালির অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলতেন শক্তভাবে এবং প্রচণ্ড ঝুঁকিও নিতেন। তাঁর সমান সাংগঠনিক দক্ষতা আজকের রাজনৈতিক ইতিহাসেও বিরল। তাঁকে কারাগারে নেওয়া হতো। কিন্তু কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি কখনো বাসায় বসে থাকতেন না। পরের দিন আবার রাস্তায় বেরিয়ে যেতেন। আইনজীবী হিসেবে আমি তখন তত সিনিয়র ছিলাম না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দু-একটি মামলায় সম্ভবত কিছুটা ভূমিকা রাখার সৌভাগ্য হয়েছিল।
মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এককথায় অসাধারণ। পরকে আপন করার ওই রকম গুণাবলি আজ পর্যন্ত কারো মধ্যে দেখিনি। কর্মী বা পরিচিতজনদের সঙ্গে তিনি কথা বলতেন আত্মীয়ের মতো। সম্পর্ক তিনি এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতেন যে তাঁর জন্য অনেক লোক জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। জনগণের ওপর আস্থা রেখেই তিনি চলতেন। টাকা-পয়সা কিংবা ধর্মকে ব্যবহার করে তিনি মানুষকে কাছে টানতেন না। প্রতিক্রিয়াশীল ধারা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে এ দেশকে তিনিই বের করে আনেন।
আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিক যোগদানের সময়টা হুবহু আমার মনে নেই। তবে অবশ্যই ১৯৫৯ সালের পরে প্রাথমিক সদস্য পদ পেয়েছি, এটা বলা যায়।
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বটাই এমন ছিল যে তিনি মানুষকে কাছে টানতে পারতেন। তাঁর বৈশিষ্ট্য হলো সব মানুষকেই তিনি সম্মান এবং গুরুত্ব দিতেন। সেই তরুণ বয়সে দেখতাম, সব মানুষের কথা তিনি আগ্রহভরে শুনে বোঝার চেষ্টা করতেন এবং সম্ভব হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সেটাকে তিনি কাজে লাগাতেন। বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে খুব সহজে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতেন। তিনি অনেক বড় নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পাশের লোককে কখনো সেটা অনুভব করতে দিতেন না।
বিশ্বনেতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম চির অম্লান থাকবে। তাঁর সমান উচ্চতার নেতা বিশ্বে এখন তো বিরল বটেই, এমনকি তাঁর সমকালীন বিশ্বে হয়তো বা দু-একজন ছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে সংবিধান কমিটির চেয়ারম্যান করার কথা বঙ্গবন্ধুই ডেকে আমাকে বললেন। তবে ফরেন মিনিস্টার করবেন—এ কথা আমায় খোলাখুলি আগে বলেননি। তবে আমি বুঝতে পারছিলাম, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন, সহজে মুক্তি দেবেন না। অবশ্য সংবিধান প্রণয়নের পর মনে করলাম, আমার কাজ শেষ। এখন আমি মুক্ত। তখন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ হেসে বললেন, আপনি তো মুক্ত হবেন না!
আওয়ামী লীগের তৎকালীন সিনিয়র নেতাদের দু-একজন আমার কাছে জানতে চাইলেন, আমি কোন মন্ত্রণালয় চাই। আমি বললাম, আমি তো কোনোটাই হতে চাই না। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনের পর তাজউদ্দীন ভাই বেরিয়ে প্রথমে আমাকে অভিনন্দন জানালেন। বললেন, ‘কনগ্রাচুলেশনস ফরেন মিনিস্টার।’ পরে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘তোমাকে দায়িত্ব দিলাম। সদ্যঃস্বাধীন দেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ তখন প্রায় সবার চেয়ে আমি জুনিয়র ছিলাম। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আমাকে ফরেন মিনিস্টার করলেন বঙ্গবন্ধু। তখন বুঝতে পারলাম, বঙ্গবন্ধু আমাকে অনেক স্নেহ করেন। এটা অবশ্যই আমার ভাগ্যের ব্যাপার। অথচ আমি বঙ্গবন্ধুর খুব বেশিদিনের নয়, অল্প কয়েক দিনের কর্মী ছিলাম। তার পরও তিনি ভালো কাজের মূল্যায়ন করলেন। সম্ভবত সংবিধান প্রণয়নের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু খুশি হয়েছিলেন। অবশ্য কাজটাও আমি বেশ গুছিয়ে করেছিলাম।
বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, বাঙালিরা দলাদলি করলে পাকিস্তানিরা সুযোগ নেবে। একদিন একান্তে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা মনে করে, আমরা বাঙালিরা কোনো দিন দাঁড়াতে পারব না। কারণ আমরা খুব দলাদলি পছন্দ করি এবং একে অন্যকে সহ্য করি না।’ উনি তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে সব সময় মনোযোগী ছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছিলেন। এটা একদিন আমি তাঁকে বলেছিলাম।
ফরেন মিনিস্টার হিসেবে একসঙ্গে বহুবার বিদেশে ভ্রমণ করেছি; সেটা আমার জীবনের অনেক আনন্দের বিষয়। মন্ত্রিসভায় অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ার পরও তিনি আমায় সব সময় কাছে ডেকে নিতেন। মিটিং বা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বক্তৃতার সময় আইনের বিষয় থাকলে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘তুমি আমার কাছে থাকো।’
বঙ্গবন্ধু সঠিক লোককে সঠিক মূল্যায়ন করে সঠিক জায়গায় বসাতে পারতেন বলেই বিশ্বনেতা হতে পেরেছিলেন। অনেক কম বয়সে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব এবং ফরেন মিনিস্টারের দায়িত্ব তিনি আমায় দিয়েছিলেন।
দুঃখের কথা, আমাদের হাতে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংস করলাম। ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনার সময় আমি সম্ভবত যুগোস্লাভিয়ায় ছিলাম। খবর শুনে মনে হলো, পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে গেল! আমাদের সব রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গেল! তাঁর নেতৃত্বের শূন্যতা আজও পূরণ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঙালি জাতির জন্য আর কেউ রাস্তায় নামবেন না। এখনকার বিশ্বে ওই উচ্চতার নেতা কল্পনাও করা যায় না।
অবশ্য বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, ‘দেখো, আমি বিশ্বাস করি, মানুষের মৃত্যু নির্দিষ্ট কোন দিনে, সেটি লেখা থাকে। এর এক দিন আগেও হবে না, এক দিন পরেও হবে না।’ সে কারণে তিনি ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যেতেন। সম্ভবত এ কারণেই যুদ্ধ শুরু হলেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি।
- রোহিঙ্গাদের জন্য বড় তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- নাস্তানাবুদ শ্রীলংকা, বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
- ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন
- আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
- ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে বিআরটিসির ৫৫০ বাস
- স্মার্ট ডাক সেবার যুগে ভাসানচর: পলক
- আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০২ কোটি ডলার
- কী আমাদের অপরাধ, দেশ স্বাধীন করা, উন্নত করা?
- কয়লা তোলার উদ্যোগ
- শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছেন
- পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
- সমরেশ মজুমদার সাহিত্য পুরস্কার পেলেনে কথা সাহিত্যক সেলিনা হোসেন
- সিলেটে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ৫
- আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই : রেলপথ মন্ত্রী
- খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল
- করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন
- কুমিল্লায় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- পিনু খানের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
- ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্তকরণ কার্যকর থাকবে : হাইকোর্ট
- মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা
- জন্মদিন উদযাপিত : বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে হবে
- নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে ডিসি সম্মেলনে
- বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সারা দেশে বন্ধ হলো ১২২৭ অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক
- জেলেনস্কিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান
- ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল
- মুজিব শতবর্ষ ভাষা জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল: এপ্রিলেই শেষ শতভাগ কাজ
- প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- এগিয়ে চলার শপথ
- পিলখানা: প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্ত গণহত্যা এড়াতে সাহায্য করে
- একটানা টাঙ্গাইল শাড়ি পরার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশে বাড়ল মাথাপিছু আয়
- আট লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ‘দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
- প্রথমবার ছেলেরা মেয়েদের যে ৫ বিষয় খেয়াল করে
- ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
- টাঙ্গাইলের নিরাপদ সবজি বিদেশে রফতানির উদ্যোগ
- টাঙ্গাইলে দু’টি ক্লিনিক সিলগালা, ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা