বঙ্গবন্ধু এখানে বেড়াতে এসেছিলেন
আজকের টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
জীবনে সবচেয়ে বড় স্মৃতি নিয়ে আছেন জনি নকরেক
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের চুনিয়া গ্রামে ত্রিকালদর্শী জনি নকরেকের বর্তমান ঠিকানা। লাল ইটে গাঁথা, লাল টিনের চৌচালার সুদৃশ্য “চুনিয়া বাংলো” ডাইনে রেখে পায়ে চলা পথ গজারী বন বিদীর্ন করে প্রবেশ করেছে আদিবাসী গ্রাম চুনিয়ায়। বাঁক খেয়ে পথের মাথা যেখানে শেষ, সেখান থেকে দশ কদম পা মেললেই পরিচ্ছন্ন মাটির ঘর। আর সেটিই জনির শান্তি নিকুঞ্জ।
জনি নকরেকের জন্ম ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুর পাহাড়ে। বাবার নাম অতীন্দ্র মৃ। আর মা অনছি নকরেক। পীরগাছা ছিল নানা-নানীর বাড়ি। নানার নাম ছিল সুরমান চিরান। আর নানী বালমী নকরেক।
কৈশোরে দূরন্ত যৌবন যখন উড়ুউড়ু, বনবনানী, পাখপাখালী, বাইদ আর পাহাড়ী ঝর্ণায় মিতালী পাতানোর খায়েশ অনবরত ঘুরপাক খেতো; ঠিক তখনই মামা বাড়ি বেড়াতে এসে ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসবে নাচগান আর চুং পানের আসরে চারচক্ষুর মিলন ঘটে। বিয়ের পর আর ত্রিপুরায় ফেরা হয়নি জনির। অনিতার গলায় মালা বদলে সেই যে মায়ার বন্ধনে সুর মিলিয়েছিল, তা নিয়েই কাটছে পড়ন্ত বেলা। ঘরে ছয় ছেলে, তিন মেয়ে। চার ছেলে ঘর জামাই গেছে। মেয়ে বৈজয়ন্তী নকনার মর্যাদায় বাড়িতে জামাই এনেছেন। সব মিলিয়ে তার নাতিনাতনীর সংখ্যা ৩০জন। জমিজমা খুব একটা নেই। কায়ক্লেশে দিন চলে জনির।
জনি জানান, তার জীবনে সবচেয়ে বড় স্মৃতি হলো ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মধুপুর বনাঞ্চলের দোখোলা বাঙলোতে অবস্থানকালে তার সাথে বিরল সাক্ষাৎ। বেগম মুজিব সেদিন বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন। দোখলা বাঙলোতে বঙ্গবন্ধু অবস্থানকালে গারো গ্রাম চুনিয়া ভ্রমণ করেন। তিনি আদিবাসী গারো নেতা প্রয়াত পরেশ মৃর বাড়িতে গমন করেন। বাঙলোতে ফেরার পথে তার জীর্ণ কুটিরেও বঙ্গবন্ধু একদন্ড বসেছিলেন। তার নিকট এটি অমূল্য স্মৃতি।
নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে ত্রিকালদর্শী জনি নকরেক বলছেন, অনিতাকে প্রাণভরে ভালোবাসতাম। পাহাড়ী টিলার ধানী জমিতে মায়ের সাথে অনিতা কাজে গেলে, নানা ছুঁতোয় জমির আইলে দাড়িয়ে থাকতাম। অগোচরে আগাছা পরিস্কারে হাত লাগাতাম দুজনের সাথে। ডানেবায়ে তাকিয়ে মিষ্টি হাসতো অনিতা। আর মা নর্জ মৃ বাঁকা চোখে তাকাতো। মায়ের কড়া নজর সত্বেও দিনের পর মাস। মাসের পর বছর না পেরোতেই অনিতার সাথে মন দেয়া নেয়া, হৃদয় হরণের পালা শেষ হয়। গারো মাহারী বা সমাজের মানুষ জানতে পারলো, জানতে পেরে বুঝতে পারলো, বুঝতে পেরে অনিতার পরিবারকে চাপ দিলো। শেষ পর্যন্ত, এক হাড় কাঁপানো পৌষের নিশিতে গারো সমাজের প্রচলিত রীতিনুযায়ী আমাদের দুজনকে ঘরের দুই দরজা দিয়ে এক ঘরে তুলে দেয়া হলো। জীবনের সেই রাতে বাইরে পৌষের প্রচন্ড শীত থাকলেও ভেতরে অনিতা আর আমার বসন্ত চলছিল। সে এক অনন্ত ভালোবাসার বসন্ত। সেই ভালোবাসা মন থেকে মনে, দেহ থেকে দেহে, শিরা থেকে শিরায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
জনি বলেন, পরম সুখে নিশিবসান ঘটে মোরগ ডাকা ভোরে। দু,হাত মিলিয়ে পায়ে ছন্দ তুলে একই দরজায় হাসিমুখে বেরুলাম। বিহানে দুজনের এক দরজায় হাসিখুশিতে বেরুতে দেখে উৎফুল্ল হলো বাড়ির সবাই। তারপর? তারপর পুরোহিতকে ডাকা হলো। গারো সমাজের রীতিনুযায়ী মন্ত্রজপ আর মালা বদল হলো। মোরগ জবাই হলো। শুরু হলো নতুন জীবনের জয়যাত্রা। সেই যে বিনে সূতোর মালায় অনিতা অঙ্কশায়িনী হলো; তা টিকেছিল টানা পয়ষট্রি বছর।
জনি নকরেক ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চলমান গল্প বাল্যে শুনেছেন। যৌবনে ব্রিটিশ শাসন দেখেছেন। ভারত-পাকিস্তান আন্দোলন ও দেশভাগ দেখেছেন। জনি “হাত মে বিড়ি মুখমে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান” শ্লোগান শুনেছেন। তারও আগে মধুপুর থেকে ময়মনসিংহ চল্লিশ কিলো পায়ে হেটে গিয়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং মহাত্মা গান্ধীর জনসভায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু বৃিটিশ শাসনের অবসানে পাকিস্তানেরর জন্ম হলেও আদিবাসী গারোদের কোনো লাভ হয়নি। দুই দুই বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গারোরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারত চলে যায়। পরবর্তীতে পাকিস্তান খেদাও আন্দোলন শুরু হলে গারো জনগোষ্ঠি তাতে সক্রিয় অংশ নেয়। বহু গারো মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অংশ নেয়। কিন্তু কেউ রাজাকার বা আলবদরে যোগ দেয়নি।
জনি স্মৃতি হাতড়ে জানান, সে সময় মধুপুর জঙ্গলে জুম চাষ হতো। জুম জমিতে নানা ফসল ছাড়াও স্থানীয় জাতের আনারস আবাদ হতো। শুধু লবন, কেরোসিন আর বস্ত্র ক্রয় ছাড়া গারোরা জঙ্গলের বাইরে মানে হাটবাজারে যেতেন না। জীবনের সব উপকরণ জঙ্গলেই মিলতো। তিনি গল্প জমিয়ে বলেন” নিজ হাতে বাঘ ও বনমহিষ শিকার করেছি।”
বেসরকারি সংস্থা ” শেড” প্রকাশিত গ্রন্থ "madhupur, the vanishing forest and her people in.agony" থেকে জানা যায়, মধুপুর বনাঞ্চলে আদিবাসী গারো জনসংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। এদের মধ্যে সাংসারেক বা আদি গারো ধর্মাবলম্বির সংখ্যা মাত্র ৪৭ জন। দিনে দিনে নানা কারণে মধুপুর বনাঞ্চলের গারোরা খৃস্ট ধর্ম গ্রহন করে আধুনিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সচেতনায় এগিয়ে গেছেন। কিন্তু জনি নকরেকের মতো হাতেগোনা কিছু মানুষ এখনো আদিধর্ম আকড়ে পড়ে আছেন।
জনি এখনো আদি গারোদের মতো পূজাপার্বণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। নিজ ধর্মেের আচারনিষ্ঠার প্রতি তার প্রচন্ড অনুরাগ। পরিবারের সবাই খৃস্টান হলেও নিজের মতাদর্শ থেকে তিনি এক চুল ও নড়েননি।
এখানে ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য কোনো মন্দির নেই। থাকার ঘরের এক অংশকে তিনি মন্দির হিসাবে ব্যবহার করছেন। তার অন্তিম ইচ্ছা কেউ না কেউ, কোনো না কোনো একদিন, তার ডাকে সাড়া দেবে। তার দেবতার পুজা অর্চণার জন্য একটা মন্দির নির্মাণ করে দেবে।
- ডিজিটাল হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, আটক ৫
- পারিবারিক কলহ, যা করলেন রিকশাচালক
- ভেজাল ওষুধ বিক্রি করতে গিয়ে ধরা চক্রের তিন সদস্য
- কারওয়ান বাজার সরানোর প্রক্রিয়া শুরু
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- রাজকুমার সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ্যে
- যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাব : মেসি
- ইহসানুল করিমের প্রতি বাসস পরিবারের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান
- অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
- উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী
- কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর
- গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা
- তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে
- জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে
- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন
- চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
- কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪ জনকে চমেকে ভর্তি
- চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের ৩৩ সদস্য আটক
- ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
- বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
- পণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম
- দেশের ৭ বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে
- আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার
- লোহিত সাগরে ইয়েমেনের চারটি ড্রোন ধ্বংস: যুক্তরাষ্ট্র
- বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন নেতৃবৃন্দের
- নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ
- সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কমরেড নজির হোসেনের ইন্তেকাল
- পেঁয়াজের বীজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকরা
- পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯মেট্রিক টন চাল
- নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা আসছে ডিসি সম্মেলনে
- বিদেশীদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশী প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে
- অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশকে প্রস্তুতি নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে
- মতবিরোধ না রেখে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে শেষ হচ্ছে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, চালু অক্টোবরে
- ‘দগ্ধদের চিকিৎসায় টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
- বেশি দামে খেজুর বিক্রি করায় ৩ দোকানিকে জরিমানা
- বঙ্গবন্ধুর কারণেই নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে
- ৪১তম বিসিএসে ২৪৫৩ নিয়োগের সুপারিশ
- ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
- ৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে ৩ মোবাইল অপারেটর
- চালু হলো নতুন স্কিম ‘প্রত্যয়’
- রোজার তাৎপর্য মানুষের জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটানোর আহবান
- ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- আমিরাতের সব ট্রেডে শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ